দেবব্রত মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বকখালি লাগোয়া হেনরিজ আইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়ে বিপদে কলকাতার পর্যটকরা। বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে গেলেন তিনজন। এর মধ্যে দুজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। রবিবার বেলা পর্যন্ত এক মহিলার খোঁজ মেলেনি।
শনি, রবি ছুটি। পরের দিন ইদ। টানা ছুটি পেয়ে শনিবার সকালে কলকাতার কসবা থেকে দুটি পরিবার বেড়াতে গিয়েছিল বকখালিতে। সেখানে একটি লজে উঠেছিলেন দুই পরিবারের ৬ সদস্য। বেলার দিকে তাঁরা যান হেনরিজ আইল্যান্ডে। জায়গাটা বেশ নিরিবিলি। শনিবার আইল্যান্ড ফাঁকাই ছিল। ৬ জনের ওই পর্যটক দলে ছিলেন কলকাতা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর তন্দ্রিমা গুপ্ত, তাঁর স্বামী সোমরাজ গুপ্ত ও মেয়ে সমরিনা গুপ্ত ও অন্যদিকে সোমরাজের বন্ধু ও তাঁর স্ত্রী ঋষিতা প্রামাণিক এবং তাদের এক সন্তান। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ দুই পরিবারের ৬ সদস্য সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। এদের কেউই সাঁতার জানতেন না। সমুদ্রের জলের ঘূর্ণিপাক থেকে তিনজন কোনওরকমে তটে উঠে এলেও, ভাটার টানে সোমরাজ গুপ্ত, সমরিনা গুপ্ত এবং ঋষিতা প্রামাণিক তলিয়ে যান। ওই এলাকা একেবারে ফাঁকা থাকায় বাকি তিনজনের ডাকাডাকি কেউ তাই শুনতে পায়নি। খবর পেয়ে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার পুলিশ তাদের উদ্ধারকাজ শুরু করে। ডাক পড়ে ডুবুরির। রাতভর তল্লাশি চলে। সকালে ৩৭ বছরের সোমনাথের দেহ মেলে। এর কিছু পরে তাঁর মেয়ে সাত বছরের সমরিনার দেহ উদ্ধার হয়। তবে বেলা পর্যন্ত ৩২ বছরের ঋষিতা প্রামাণিকের খোঁজ মেলেনি।
বকখালি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে হেনরিজ আইল্যান্ড জায়গাটা বেশ নির্জন। সেভাবে পাহারাদারও থাকে না। গত বছর ওই এলাকায় স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয়েছিল এক পর্যটকের। ফের এই ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.