ছবি: প্রতীকী।
শুভঙ্কর বসু ও রঞ্জন মহাপাত্র: নন্দীগ্রামে ভোটের ফলে কারচুপির অভিযোগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অল্প ব্যবধানে যে সমস্ত আসনে হেরেছে সেই ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কোর্টে যাওয়ার কথা ভাবছে তৃণমূল। এবার সেই আইনি পথে হাঁটল বিজেপি (BJP)। স্বল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হওয়া দুই বিজেপি প্রার্থী কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন। ইতিমধ্যে মামলার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে স্বল্প ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন দুই বিজেপি প্রার্থী। পাণ্ডবেশ্বরের প্রার্থী তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি তিন হাজারের সামান্য বেশি ভোটে হেরেছেন। মহিষাদলের প্রার্থীরও ব্যবধান ছিল তিন হাজারেরও কম। সোমবার তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন। তবে তাঁদের আবেদন এখনও গৃহীত হয়নি। রয়েছে বেশকিছু আইনি জটিলতা।
আইন বলছে, ফলপ্রকাশের ৪৫ দিনের মধ্যে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করতে হয়। এক্ষেত্রে সেই মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই আদৌ দুই বিজেপি প্রার্থীর আবেদন গৃহীত হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কেন এত দেরিতে মামলা করলেন গেরুয়া শিবিরের দুই সৈনিক। এই জবাব দিতে গিয়ে তাঁদের যুক্তি, রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য মামলা দায়ের করতে দেরি হল। তাঁদের আরও একটি যুক্তি, বিজেপি দিল্লি থেকে অনুমতি না পেলে এ ধরনের পদক্ষেপ করা যায় না। সেই অনুমতি আসতে দেরি হয়েছে। এবার আদালতে তাঁদের এই যুক্তি গ্রাহ্য হয় কি না সেটাই দেখার। দলীয় সূত্রে খবর, দুই নেতার আবেদন গ্রাহ্য হলে গেরুয়া শিবিরের আরও ৮-১০ জন নেতা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
এ প্রসঙ্গে মহিষাদলের বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “২৩৮৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলাম। আমার মনে হয় সঠিকভাবে গণনা হলে হারতাম না। তাই দলের নির্দেশে আদালতের দ্বারস্থ হলাম।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.