ছবি: প্রতীকী।
গোবিন্দ রায়: কবি বহুদিন আগে বলেছিলেন, নাম কী বা আসে যায়! কিন্তু সেই নামেই লুকিয়ে আছে প্রতারণার চাবিকাঠি, তা কে জানত। বিশেষ দুই নামের আড়ালে লুকিয়ে প্রতারণার ফাঁদ। প্রতারকদের সঙ্গে আপনার নাম মিলে গেলেই খোয়াতে পারেন সর্বস্ব। ঘাড়ে চাপতে পারে কোটি কোটি টাকা দেনার ভার। খাস কলকাতায় নামের ফাঁদে ফেলে ব্যাংক ও ঋণদায়ক সংস্থা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতাচ্ছে দুই প্রতারক। প্রতারণার কায়দায় জানার পরই চোখ কপালে উঠেছে পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাত জুড়ে নিজেদের নামের সঙ্গে মিল থাকা ব্যক্তির নথির খোঁজ করতেন দুই প্রতারক। এর পর সেই পরিচয় পত্রের সঙ্গে নাম ও পদবি হুবহু মিলে গেলে করা হত ছবির কারচুপি। তার পর সেই নথি দেখিয়ে ব্যাংক থেকে নেওয়া হত মোটা টাকার ঋণ। এক জায়গা থেকে নয়, বিভিন্ন ব্যাংকে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো হয়েছিল। আর সেই ঋণ নিয়ে বেপাত্তা হয়ে যেতেন পার্কস্ট্রিটের বাসিন্দা শান্তনু দাস ও অমিত রায়। অবশেষে মঙ্গলবার দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পার্কস্ট্রিটের শাখা থেকে ১৪ লক্ষ টাকা ঋণ নেয় শান্তনু দাস ও অমিত রায়। দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরেও ঋণের টাকা জমা না করায় পার্কস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। পরে তদন্তের দায়িত্ব যায় কলকাতা পুলিশের অ্যান্টি ব্যাংক ফ্রড বিভাগের কাছে। সেই সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা জানতে পারেন শুধু এই ব্যাংক থেকেই নয়, কলকাতার একাধিক ব্যাংক ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিত তারা। যাঁদের পরিচয় দিয়ে ঋণ নেওয়া হত তাঁরাই পড়তেন বিপদে।
তাই পুলিশ কলকাতাবাসীকে সর্তক করেছে। বলা হচ্ছে, নিজেদের পরিচয়পত্র অজানা-অচেনা লোকের হাতে তুলে দেবেন না। তাতে বিপদ বাড়তে পারে আপনারই। সেই নথি ব্যবহার করে অনৈতিক কাজ করতে পারে দুষ্কৃতী বা প্রতারকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.