ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কৈশোর থেকে যৌবনে পা বাড়ানো ছেলে৷ বন্ধুবান্ধবদের পাল্লায় পড়ে বেলাগাম খরচ করত সে৷ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রায় রাশ টানতে চেয়েছিলেন মা৷ এটাই ছিল মা-ছেলে দ্বন্দ্বের মূল কারণ৷ সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল৷ কিন্তু তা বলে মাকে যে খুন পর্যন্ত করতে পারে ছেলে তা ভাবতেও পারেননি কেউই৷ বাঁশদ্রোণীতে গৃহবধূ খুনের ঘটনায় ছেলেকে জেরার পর এমনই তথ্য পেল রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ৷ গুণধর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
গত বুধবার বাঁশদ্রোণীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় মমতা আগরওয়াল নামে এক গৃহবধূর দেহ৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ৷ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়৷ কীভাবে মারা গেলেন মহিলা? খুন নাকি আত্মহত্যা? কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত? গৃহবধূর মৃত্যুতে মাথাচাড়া দেয় নানা প্রশ্ন৷ তদন্তে নেমে মমতা আগরওয়ালের ছেলে আয়ুষকে জেরা করে পুলিশ৷ কীভাবে মা মারা গেলেন, সে বিষয়ে প্রথমে কিছুই বলতে চায়নি ওই যুবক৷ তবে দীর্ঘক্ষণ পুলিশি জেরায় ভেঙে পড়ে সে৷ মাকে শ্বাসরোধ করে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় আয়ুষ৷ পুলিশকে সে জানায়, বেলাগাম খরচে বাধা দিতেন মা৷ এছাড়াও দিনকয়েক আগে একটি বাইক কিনেছিল আয়ুষ৷ সেই বাইকটি বিক্রি করার ইচ্ছা ছিল তার৷ কিন্তু তাতে বাধা দিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ৷ তাতেই মায়ের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় আয়ুষের৷ গত বুধবারও মায়ের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি হয়েছিল তার৷ উত্তেজিত হয়েই শ্বাসরোধ করে মাকে খুন করেছে, স্বীকারোক্তি দেয় সে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিলেছে শ্বাসরোধ করে খুনের প্রমাণ৷ আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপাতত ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা৷ এদিকে, স্বীকারোক্তির পর গৃহবধূর ছেলে আয়ুষকে গ্রেপ্তার করেছে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ৷ শনিবার আদালতে তোলা হবে তাকে৷ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করার চিন্তাভাবনা করছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.