সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ‘থ্রেট কালচার’-এর নামে নিজেদের অপছন্দের ইন্টার্ন-পিজিটিদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিতে তৎপর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এমন অভিযোগেই সরব মেডিক্যাল কলেজ থেকে সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা। বুধবার কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁদের দাবি, “আমরাই হুমকি সংস্কৃতির শিকার।” যা শুনে সরকারের কাছে কুণাল ঘোষের আর্জি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হোক। একইসঙ্গে সিনিয়র ডাক্তারদের গণ ইস্তফা নিয়ে তোপ দেগেছেন তিনি।
আর জি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ঘটনা নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির অন্যতম একটি ছিল ‘থ্রেট কালচার’। বস্তুত সেই দাবির জেরে রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আর এর পরই ওই কমিটিতে বেছে বেছে কিছু পিজিটি ও ইন্টার্নের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ জমা দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট এসেছে, ওই অভিযোগগুলির অধিকাংশই ভুয়ো এবং তথাকথিত আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মস্তিষ্কপ্রসূত। কারণ, যাঁদের ওই জুনিয়র ডাক্তাররা পছন্দ করেন না অথবা ব্যক্তিগত কোনও রাগ-ঝাল মেটাতে মিথ্যা অভিযোগ জমা দেওয়া হচ্ছে। এবার সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারি পড়ুয়ারা একই অভিযোগ করলেন। তাঁদের দাবি, আন্দোলন ছেড়ে কাজে ফিরতে চেয়েছিলেন বলে এই সমস্ত মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ৫৯ জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। ৭ চিকিৎসক এবং ৩ ডাক্তারি পড়ুয়াকে আগামী তিনদিনের মধ্যে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে কুণাল ঘোষের দাবি, “দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। কিন্তু নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়। এ সবের নেপথ্যে রয়েছে কিছু বাম সংগঠন। অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা এই ষড়যন্ত্রের অংশ হতে চাইছে না, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের পাশে দাঁড়িয়ে গণইস্তফার পথে হেঁটেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। সেই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছেন কুণাল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.