ফাইল চিত্র
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। এবার আচার্যের বিরুদ্ধে ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্যের মানহানি করার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই রাজভবনে ই-মেল মারফত আইনি নোটিস পৌঁছে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন প্রাক্তন উপাচার্যরা। ওই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শিক্ষাক্ষেত্রে ‘অতিসক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে প্রয়োজনে রাজভবনের বাইরে ধরনার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি। কোনও বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যপালের কথা শুনে চললে অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করবেন বলেই সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী। তার ঠিক একদিনের ব্যবধানে ভাঙা বাংলায় পালটা জবাব দেন রাজ্যপাল। কেন রাজ্য সরকারের মনোনীত উপাচার্যদের নিয়োগ করতে পারেননি, তার কারণ ব্যাখ্যা করেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, “আপনারা জানতে চাইবেন, কেন সরকারের মনোনীত উপাচার্য নিয়োগ করতে পারিনি। কারণ, তাঁদের মধ্যে কেউ দুর্নীতিপরায়ণ। কেউ ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছে। আবার কেউ রাজনৈতিক খেলায় ব্যস্ত। আপনারাই বলুন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী এমন অন্তর্বর্তী উপাচার্য থাকা উচিত যিনি দুর্নীতি করবেন বা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করতে পারেন।”
রাজ্যপালের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদে সরব তৃণমূলপন্থী উপাচার্য ফোরাম। রাজভবনের ১১ নম্বর গেটের বাইরে ধর্নায় বসেন উপাচার্য ও শিক্ষাবিদদের একাংশ। তাঁরা বলেন, “রাজ্যের নিযুক্ত শিক্ষাবিদদের অপমান করার অধিকার রাজ্যপালের নেই। তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।” জগদীপ ধনকড়ের মতোই সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে রাজ্যের সম্পর্কেরও ক্রমশ অবনতি ঘটছে। এই আইনি নোটিসের পর উভয়ের সম্পর্ক যে আরও তলানিতে পৌঁছল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.