অর্ণব আইচ: চিন্তা বাড়াচ্ছে তিলোত্তমা। একদিকে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর সেই সংক্রমণে লাগাম পড়াতে বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ৩২৬ টি থেকে এই এলাকার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৮টি। এর মধ্যে উত্তর ও মধ্য কলকাতার এলাকার সংখ্যাই বেশি। তবে দক্ষিণ শহরতলির বহু এলাকা নয়া তালিকায় যুক্ত হয়েছে।সিল করা হয়েছে একাধিক এলাকা। প্রসঙ্গত, ১০ মে পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে নতুন আক্রান্ত ৩৭ জন। একই সময়ে শহরে মৃত ১০। এরপরই কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়ানো হয়।
উত্তরোত্তর বাড়ছে মারণ করোনা ভাইরাসের দাপট। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ভাইরাসের বলি ২ লক্ষ ৮০ হাজার ৪৩২ জনের। আক্রান্ত ৪১ লক্ষের বেশি। সবচেয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি আমেরিকায়। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৭৯ হাজার ছুঁতে চলেছে। লকডাউনের তৃতীয় পর্যায়ে গোষ্ঠী সংক্রমণের পথে হাঁটছে ভারত। COVID-19 পজিটিভ দেশের ৬৭ হাজার ১৫২ জন, মৃত্যু হয়েছে ২২০৬ জনের। রাজ্যে করোনা পজিটিভ ১৯৩৯ জন, মৃতের সংখ্যা ১১৩। রবিবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ভবনের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, শুধু কলকাতায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪৮। আর মৃত্যু হয়েছে ১২৬ জনের। এর মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ৭৪ জন। বাকি ৫২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ছাড়াও অন্য অসুখ ছিল।
জানা গিয়েছে, তিলোত্তমার কনটেনমেন্ট জোনগুলির মধ্যে সবচয়ে বেশি রয়েছে উত্তর ও মধ্য কলকাতায়। তবে যাদবপুরের বিভিন্ন এলাকাকে কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তালিকায় যোগ হয়েছে দক্ষিণ শহরতলির একাধিক এলাকা। এমনকী, আইএলএস নেতাজিনগর এলাকায় কয়েকজন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। এরপর সেই এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যের মধ্যে কলকাতার এই চিত্র আতঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে উদ্বেগও বাড়াচ্ছে। অভিযোগ, বহু এলাকায় লকডাউন সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না, তাই ক্রমাগত সংক্রমণ বাড়ছে।মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে দশটি বোরো। ১-৯ ও ১৫ নম্বর বোরো। এরমধ্যে বড়বাজার সংলগ্ন চার নম্বর বোরো ও গার্ডেনরিচ সংলগ্ন ১৫ নম্বর বোরোতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই বোরো কমিটির চেয়্যারম্যানেদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন কলকাতা পুরবোর্ডের প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.