স্টাফ রিপোর্টার: শরীরে ইনসুলিন রয়েছে৷ কিন্তু তা অতিরিক্ত মেদের জন্য কাজে লাগছে না৷ অনেকটা বাতিল হওয়া পাঁচশো-হাজার নোটের মতোই অবস্থা৷ ফলে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধছে শরীরে৷ বাঁচতে গেলে জীবনশৈলীতে বদল আনতে হবে৷ চেষ্টা করতে হবে সপ্তাহে পাঁচদিন অন্তত ৩০ মিনিটে ৩ কিমি হাঁটার৷ তবেই এই অভিশাপকে ঠেকানো যাবে৷ এমনটাই জানালেন রাজ্যের বিশিষ্ট এন্ডোক্রিনোলজিস্টরা৷
১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস৷ তার আগে শুক্রবার আর জি করের শতাব্দী প্রাচীন বিল্ডিং নীল আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়৷ আয়োজন করা হয় এক অনুষ্ঠানের৷ উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. শশী পাঁজা, রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডা. সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, আর জি কর কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শুদ্ধোদন বটব্যাল, ‘রিসার্চ সোসাইটি ফর স্টাডিজ অফ ডায়াবেটিস ইন ইন্ডিয়া’ (আরএসএসডিআই)-এর বেঙ্গল চ্যাপ্টারের সভাপতি ডা. অপূর্ব মুখোপাধ্যায়, সম্পাদক ডা. কৌশিক পণ্ডিত প্রমুখ৷ কৌশিকবাবু জানান, ‘ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন’-এর এ বছরের স্লোগান ‘আইস অন ডায়াবেটিস’৷ ২০১৩ সালে আরএসএসডিআই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ডায়াবেটিস মেলার আয়োজন করেছিল৷ সেখানে প্রায় হাজার দশেক শহুরে মানুষের ‘সুগার পরীক্ষা’ করা হয়েছে৷ এ বছর ১০ হাজার গ্রামীণ মানুষের ‘সুগার পরীক্ষা’ করা হবে৷ বর্ধমান ও হুগলি জেলাকে প্রাথমিকভাবে বাছা হয়েছে৷ কৌশিকবাবুর মত, বছর দশেক আগে ১০ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিক ছিলেন৷ এখন তা বেড়ে প্রায় ২০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে৷ সবসময় যে ইনসুলিনের গন্ডগোলের জন্য ডায়াবেটিস হচ্ছে তা নয়৷ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন হলেও বা বাইরে থেকে দেওয়া হলেও তা কাজ না-ও করতে পারে৷ শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণ ফ্যাট থাকলে এই সমস্যা হয়৷ ফ্যাট সেল ইনসুলিনকে কাজ করতে দেয় না৷ অর্থাৎ ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্ট’ হয়ে যায়৷ তখনই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অকেজো হতে শুরু করে৷ তাই ডায়াবেটিস থেকে বাঁচতে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে৷ অনুষ্ঠান শেষে এদিন আর জি কর থেকে নীল-সাদা বেলুন ও ফানুস ছাড়া হয় আকাশে৷ এনআরএস হাসপাতালের গেটও নীল আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.