সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শহরে আবারও মৃত্যু হল এক ডেঙ্গু আক্রান্তের৷ মৃতের নাম অনীশ সরকার৷ মঙ্গলবার ই এম বাইপাসের ধারে এক নার্সিংহোমে প্রাণ হারায় বছর দশেকের ওই শিশুটি৷ রাজ্যজুড়ে একের পর এক ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যুতে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর৷ রাজ্যবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার বার্তা প্রশাসনের৷
গত বৃহস্পতিবার থেকেই জ্বরে ভুগছিল বছর দশেকের অনীশ সরকার৷ শহরের নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া সে৷ জ্বর ও সারা শরীরে যন্ত্রণা নিয়ে এলাকারই এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল অনীশের৷ কিন্তু তাতেও ওই স্কুলছাত্রের শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি৷ বাধ্য হয়ে দমদমের কাছে এক নার্সিংহোমে ভরতি করানো হয় অনীশকে৷ সেখানেই তার রক্ত পরীক্ষা করানো হয়৷ রক্ত পরীক্ষায় মেলে ডেঙ্গুর নমুনা৷ তবে তারপরেও ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল বছর দশেকের ওই ছাত্রের৷ শনিবার দমদমের ওই নার্সিংহোম থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হয় তাকে৷ কিন্তু তারপরই জ্বর বাড়তে থাকে অনীশের৷ আবারও বাইপাসের ধারে এক নার্সিংহোমে ভরতি করানো হয় ওই শিশুটিকে৷ তারপর থেকে ক্রমশই কমতে থাকে প্লেটলেট৷ দু-তিনদিন ধরে শারীরিক অবস্থার উন্নতির পরিবর্তে অবনতি হতে থাকে৷ মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয় অনীশের৷ মঙ্গলবার মারা যায় সে৷ ডেথ সার্টিফিকেটে অনীশের মৃত্যুর কারণ হিসাবে ডেঙ্গির কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷
রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর সংখ্যা৷ এই নিয়ে শহরে মোট ৯ জনের মৃত্যু হল৷ এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় পরিস্মিতা ঘোষ নামে এক ছাত্রীর৷ তার আগে বিশরপাড়ার মানস দাস নামে এক যুবকের মৃত্যু হয় দক্ষিণ কলকাতার নার্সিংহোমে। দিন কয়েক আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পার্ক স্ট্রিটে এক কিশোরের মৃত্যু হয়। উল্টোডাঙায় মারা গিয়েছেন এক গৃহবধূ। ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে একবালপুরেও। সেখানকার একটি নার্সিংহোমে মারা গিয়েছেন নুরজাহান খাতুন নামে এক মহিলা। খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.