ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ৫৯ জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল কলেজ কাউন্সিল। কলেজের তরফে তালিকা প্রকাশ করে বলা হয়, ৭ চিকিৎসক এবং ৩ ডাক্তারি পড়ুয়াকে আগামী তিনদিনের মধ্যে বহিষ্কার করা হবে।
শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ কলেজ কাউন্সিল শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ। প্ল্যাটিনাম জুবিলি বিল্ডিংয়ের ভিতরে যখন কাউন্সিল বৈঠক চলছিল বাইরে জুনিয়র-ইন্টার্নদের একাংশ তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার কথা জানালেন কলেজের অধ্যক্ষ ডা.মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা থেকে ড্রাগ সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, হোস্টেলে যৌনকর্মীদের নিয়ে আসার মতোও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ ডা.মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কাউন্সিল বৈঠকে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দশজনকে বহিষ্কারের ক্ষেত্রে ন্যাশন্যাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন মেনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব ডাক্তারকে বহিষ্কার করা হল, তাঁদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে তালিকা পাঠানো হবে। তাঁদের ডাক্তারি পরীক্ষার খাতা পূনর্মূল্যায়নের জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তালিকা পাঠানো হবে।” কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. সপ্তষি চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “শাস্তিপ্রাপ্তরা দোষ কবুল করেছে। দুর্ভাগ্যজনক হল, এঁদের মধ্যে ১৪ জন এখনও ডাক্তার হয়নি। কিন্তু যৌন হেনস্তার মত অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে।’’
আর জি কর হাসপাতালের নির্যাতিতার ঘটনা নিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের দাবির অন্যতম একটি ছিল ‘থ্রেট কালচার’। বস্তুত সেই দাবির জেরে রাজ্য সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.