কলহার মুখোপাধ্যায়: ফের কলকাতা শহরে বাড়ি বিপর্যয়। বিপজ্জনক সরকারি আবাসনের ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার লেকটাউন এলাকা। ইতিমধ্যে বৃদ্ধার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।
দীর্ঘদিন ধরেই লেকটাউনের রেল কোয়ার্টারের ৪৬৪ নম্বর ঘরে থাকতেন আশা হালদার নামে ওই বৃদ্ধা। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ওই বাড়ি মেরামতের কাজ চলছিল। সেই সময় আচমকা বাড়ির ছাদের একাংশ ভেঙে পড়ে। এরপরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে নিচের দুটি তলাও। বাড়ির মধ্যেকার ধ্বংসস্তূপেই আটকে পড়েন আশাদেবী।
দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় বাড়ির ভাঙা অংশের নিচ থেকে কোনওক্রমে প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লেকটাউন থানার পুলিশ ও দমকল। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
জানা গিয়েছে, পরিবারের সঙ্গেই ওই বাড়িতে থাকতেন আশাদেবী। কিন্তু ঘটনাচক্রে এদিন বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ সূত্রে খবর, রেল কোয়ার্টারটি কার্যত ভগ্নপ্রায়। ‘বিপজ্জনক বাড়ি’ বললেও ভুল হবে না। সেখানেই প্রশ্ন, কেন আরও আগেই এরকম একটা ভগ্নপ্রায় রেল কোয়ার্টারের মেরামত করা হল না? কেনই বা বিপদ জেনেও ওই বাড়িতে বাস করত ওই পরিবার? এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও শহর কলকাতার একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে অনেক আগেই সেসব বাড়িগুলিকে বিপজ্জনক বাড়ি হিসেবে ঘোষণা করেছিল পুরসভা। তবে এক্ষেত্রে ঠিক কী সমস্যা ছিল, রেলে তরফে কেনও মেরামতির ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
ছবি: ফাইল৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.