স্টাফ রিপোর্টার : আইএসএলের আগের চার মরশুমে প্রথম ম্যাচে জয়ের দেখা পায়নি ইস্টবেঙ্গল। ব্যতিক্রম হল না এবারও। শনিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র কাছে ০-১ গোলে হেরে অভিযান (ISL 2024) শুরু করেছে লাল-হলুদ বাহিনী। তবে সেই হতাশার মধ্যেও ছাত্রদের প্রশংসা করছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।
বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে কোনও বিভাগেই দাগ কাটতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। দুই বিদেশি ডিফেন্ডারকে একসঙ্গে খেলিয়েও রক্ষণের ফাঁক-ফোকর বন্ধ করতে পারেননি। আবার ডিফেন্সে নজর দিতে গিয়ে ধার কমেছে আক্রমণের। বিশেষত ৫৭ মিনিটে মাদিহ তালাল নামার পর তফাত বোঝা গিয়েছে ভালোমতোই। এরসঙ্গে লালচুংনুঙ্গা লাল কার্ড দেখায় পরের ম্যাচেও ডিফেন্স নিয়ে চাপ কাটবে না কুয়াদ্রাতের। ম্যাচ শেষে তিনি অবশ্য বলেছেন, “ছেলেরা গোল করার চেষ্টা করেছে। বেশ কয়েকটা ভালো সুযোগও তৈরি হয়েছে। তবে তা কাজে লাগানো যায়নি। ফুটবলে এটা স্বাভাবিক বিষয়।” হারের হতাশ নিয়েও লাল-হলুদ কোচের বক্তব্য, “বেঙ্গালুরুর মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পয়েন্ট নষ্ট না করলেই ভালো হত। তবে শুরুটা খারাপ করিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দল আরও উন্নতি করবে।”
শনিবারের ম্যাচ থেকে লাল-হলুদের প্রাপ্তি বলতে আমন সিকে, পিভি বিষ্ণুদের পারফরম্যান্স। রিজার্ভ স্কোয়াডের হয়ে কলকাতা লিগে দুরন্ত পারফর্ম করছেন দু’জনেই। সেই পারফরম্যান্সের ঝলক বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেও দেখিয়েছেন দু’জনে। যা নিয়ে কুয়াদ্রাতের বার্তা, “দলের তরুণ ফুটবলাররা আজ ভালো খেলেছে। আসলে ওরা নিয়মিত কলকাতা লিগ খেলছে। ফলে ফিটনেসের দিক থেকে ভালো জায়গায় আছে। আজ হয়তো ওরা গোল করতে পারেনি। তবে ওদের পারফরম্যান্স আমাদের জন্য ইতিবাচক বিষয়।” আমন-বিষ্ণু ছাড়াও রিজার্ভ দলের জেসিন টিকে ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরু ম্যাচের দলে ছিলেন। কুয়াদ্রাতের সহকারী কোচ বিনো জর্জের সঙ্গে তাঁরা রবিবার দুপুরের বিমানে শহরে ফিরে লিগের দলের অনুশীলনে যোগ দেন।
লাল-হলুদের বাকি ফুটবলাররা শহরে ফিরলেন রবিবার সন্ধ্যায়। সাধারণত অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ফিরলে পরদিন রিকভারি সেশনই করা হয়। তবে সোমবার ফুটবলাররা পুরোদমেই অনুশীলন করবেন বলে খবর। ২২ সেপ্টেম্বর পরবর্তী ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ কেরালা ব্লাস্টার্স।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.