স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ১২ এপ্রিল ইডেনে কেকেআর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। ‘স্বার্থের সংঘাত’-এর প্রশ্নে জড়িয়ে দেওয়া হল সিএবি প্রেসিডেন্টকে।
ঘটনাটা কী? চলতি আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন সৌরভ। আগামী ১২ এপ্রিল ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচ কেকেআরের। যে ম্যাচে দিল্লি ডাগআউটে বসার কথা সৌরভের। কিন্তু সেটা নিয়ে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়কের বিরুদ্ধে ‘স্বার্থের সংঘাত’এর অভিযোগ তুলে দিলেন রঞ্জিত শীল এবং ভাস্বতী সান্তুয়া নামের দুই ক্রিকেটপ্রেমী। ভারতীয় বোর্ডের ওম্বুডসম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) ডিকে জৈনের কাছে আলাদা চিঠি পাঠিয়ে প্রশ্ন তুললেন যে, সৌরভ কী ভাবে একই সঙ্গে সিএবি প্রেসিডেন্ট এবং আইপিএল টিমের উপদেষ্টা থাকতে পারেন? চিঠিতে এঁরা লেখেন যে, আগামী ১২ এপ্রিল ইডেনে কেকেআর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। কেকেআর স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি যারা সিএবির সঙ্গে খুব গভীর ভাবে জড়িয়ে। সেখানে সিএবি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌরভ একদিকে স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজিকে (কেকেআর) সর্বাত্মক সাহায্য করছেন, যাতে ম্যাচটা ভাল ভাবে করা যায়। অন্য দিকে সেই সৌরভই আবার দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগআউটে বসছেন। এটা কি স্বার্থের সংঘাত নয়?
ওয়াকিবহাল মহলের কেউ কেউ মনে করছেন, চিঠিতে আদতে ঘুরিয়ে বলার চেষ্টা হয়েছে যে সৌরভ আগামী ১২ এপ্রিলের ম্যাচে মাঠ সংক্রান্ত ব্যাপারস্যাপারে প্রভাব খাটাতে পারেন। যা শুধু বঙ্গ ক্রিকেটমহল নয়, বোর্ডমহলেরও সমান যুক্তিহীন বলে মনে হচ্ছে। এক বোর্ড কর্তা রুষ্ট ভাবে সেটা বলেও দিয়েছেন যে, সৌরভের মতো ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনা অর্থহীন। স্থানীয় ক্রিকেটমহল আবার পরিষ্কার এর মধ্যে সিএবি রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে। বলা হচ্ছে, যে দু’জন বোর্ড ওম্বুডসম্যানকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা দু’জনেই সিএবি-র প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে’র ঘনিষ্ঠ। আর বিশ্বরূপ ঘোষিত সৌরভ-বিরোধী। বিশ্বরূপকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি পুরোটা অস্বীকার করলেন। বললেন, “আমি এঁদের একজনকেও চিনি না।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নিজে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু তাঁর ঘনিষ্ঠমহল বলছে যে, সৌরভের পুরো ব্যাপারটা নিয়েই সিওএ-র থেকে অনুমতি নেওয়া আছে। আর ইডেনে কেকেআর যুদ্ধে দিল্লি ডাগআউটে তাই না বসার কোনও প্রশ্নই নেই। ভারতীয় বোর্ডের প্রাক্তন আইনি উপদেষ্টা এবং সিএবি-র প্রাক্তন ওম্বুডসম্যান উষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, “ওম্বুডসম্যান এ ধরনের চিঠি গ্রহণ করতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্নটা তোলা হচ্ছে স্বার্থের সংঘাতের। আমার মতে, এখানে স্বার্থের সংঘাতের কোনও ব্যাপারই নেই। প্রথমত কেকেআর স্থানীয় ফ্র্যাঞ্চাইজি মোটেই নয়। কেকেআর সিএবি-র কোনও টিম নয়। কেকেআরের ঘরের মাঠ শুধু ইডেন, এটুকুই যা।” সঙ্গে যোগ করলেন, “সৌরভের যদি কেকেআরে শেয়ার থাকত, তা হলেও একটা ব্যাপার হত। কিন্তু সেটাও নেই। প্লাস, সৌরভ আইপিএলের কমিটিতে নেই। স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে?” সিএবি যুগ্ম সচিব অভিষেক ডালমিয়াও একই কথা বলছেন। দ্রষ্টব্য এখন একটাই। বোর্ড ওম্বুডসম্যান এ হেন চিঠিকে গুরুত্ব দেন কি না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.