কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব: ২০ ওভারে ২০৬/৩ (কেএল রাহুল ১৩২*, শিবম দুবে ২/৩৩)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৭ ওভারে ১০৯ (সুন্দর ৩০, অশ্বিন ৩/২১)
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ৯৭ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ম্যাচে ছন্দে ছিলেন না। রান পাননি ব্যাটে। প্রশ্ন উঠেছিল অধিনায়কত্ব নিয়েও। বৃহস্পতিবার বিরাট কোহলির (Virat Kohli) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের (Royal Challengers Banglaore) বিরুদ্ধে একসঙ্গে সমস্ত সমালোচনার জবাব দিলেন রাহুল। একাই করলেন অপরাজিত ১৩২ রান। ভাঙলেন শচীন তেণ্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) অনন্য রেকর্ড। যদিও এতে কিছুটা অবদান রয়েছে বিরাটেরও। কারণ ম্যাচে রাহুলের অত্যন্ত সহজ দু’টি ক্যাচ ফেলেছেন বিরাট। তবে রাহুলের ব্যাটের পাশাপাশি জ্বলে উঠলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (Kings XI Punjab) বোলাররাও। আর এই দুইয়ের মিশ্রনে আইপিএলে লজ্জার হার বিরাটের আরসিবির। ২০৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারে ১০৯ রানেই গুটিয়ে গেলেন ডেভিলিয়ার্সরা। এমনকী রাহুলের ব্যক্তিগত রানও টপকাতে পারল না তাঁরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বিরাট। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করেন পাঞ্জাবের দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং রাহুল (KL Rahul)। দু’জনে মিলে ওপেনিং জুটিতে ৫৭ রান যোগ করেন। ২৬ রানে চাহালের বলে বোল্ড হন আগরওয়াল। এরপর তিন নম্বরে নামা নিকোলাস পুরানকে সঙ্গে নিয়ে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান রাহুল। অর্ধশতরান পূর্ণ করার পরই ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরোতে থাকেন। এই সময় কোনও আরসিবি বোলারই রাহুলের হাত থেকে বাঁচেননি। শেষপর্যন্ত অপরাজিতই থেকে যান রাহুল। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে অপরাজিত ছিলেন করুন নায়ার (১৫* )। তবে এদিনও ব্যর্থ হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫)।
এদিকে, ৬৯ বলে ১৩২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে রাহুল মারেন ১৪টি চার এবং ৭টি ছয়। আইপিএল কেরিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতরান। তবে দু’বার তাঁর ক্যাচ ফসকান আরসিবি অধিনায়ক বিরাট কোহলি। আর এসবের মধ্যেই শচীন তেণ্ডুলকরের এক অনন্য রেকর্ড ভেঙে দেন এই কর্ণাটকী ব্যাটসম্যান। ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম ২০০০ রান করার রেকর্ড গড়লেন। এই রেকর্ড গড়তে মাত্র ৬০টি ম্যাচ নিলেন তিনি। মাস্টার ব্লাস্টার এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৬৩টি ম্যাচ খেলে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২০৬ রানে থামে কিংসদের ইনিংস। RCB-র একমাত্র সফল বোলার শিবম দুবে। ৩৩ রান দিয়ে দু’উইকেট নেন তিনি। যদিও নিজের পুরো চার ওভার বোলিংও করতে পারেননি।
এদিকে, ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বিরাটরা। কটরেল–শামির দাপটে মাত্র চার রানে পড়ে যায় তিন উইকেট। গত ম্যাচে দুরন্ত ব্যাট করা পাল্লিকল (১) থেকে শুরু করে তিন নম্বরে নামা জোস ফিলিপ (০) এবং খোদ অধিনায়ক বিরাট (১) ব্যর্থ হন। ফিঞ্চ (২০) এবং এবি ডেভিলিয়ার্স কিছুটা চেষ্টা করলেও পাওয়ার প্লে–র শেষ ওভারে বিষ্ণোই ফিঞ্চকে ফিরিয়ে সেই জুটি ভাঙেন। মুরগান অশ্বিনের বলে ২৮ রান করে ডেভিলিয়ার্স ফিরতেই আরসিবির সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায়। ওয়াশিংটন সুন্দর (৩০), শিবম দুবেরা (১২) শেষ চেষ্টা করলেও সফল হননি। ফলে ১৭ ওভারে ১০৯ রানেই থেমে যায় বিরাটদের ইনিংস। পাঞ্জাবের হয়ে সবচেয়ে সফল মুরুগান অশ্বিন। তিনি ২১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। তিন উইকেট পেয়েছেন রবি বিষ্ণোইও। এছাড়া কটরেল দু’টি, শামি–অশ্বিন–ম্যাক্সওয়েল একটি করে উইকেট পান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.