Advertisement
Advertisement
সিএএ'র সমর্থনের মিছিল থেকে মহিলা আধিকারিককে মার

সিএএ’র সমর্থনের মিছিল থেকে মহিলা আধিকারিককে মার, কাঠগড়ায় বিজেপি সমর্থকরা

মিছিলে অংশগ্রহণকারীকে পালটা চড় প্রশাসনিক কর্তার।

CAA supporter pulls hair of Deputy Collector in MP.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 20, 2020 4:10 pm
  • Updated:January 20, 2020 9:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: CAA’র সমর্থনের মিছিল ঘিরে অশান্তি। মধ্যপ্রদেশে প্রশাসনিক অনুমতি ছাড়া মিছিল করায় CAA সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।মিছিল থেকে এক মহিলা আধিকারিককে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আবার মিছিলে অংশ নেওয়া এক বিজেপি সদস্যকে পালটা চড় মারার অভিযোগ উঠেছে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের বিরু্দ্ধেও। অভিযুক্ত ওই মহিলার ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টরের দাবি, মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা দুই মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিক-সহ একাধিক পুলিশ কর্মীকে মারধর করেছিল। তারপরই পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠি চালায় পুলিশ। লাঠির ঘায়ে জনা তিনেক বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে খবর। এদিনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।

[আরও পড়ুন : ‘আপনার ডিগ্রি নিয়েও আলোচনা হোক’, মোদির ‘পরীক্ষা পে চর্চা’কে কটাক্ষ কংগ্রেসের]

শনিবার থেকেই কংগ্রেসশাসিত মধ্যপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। ফলে CAA সমর্থনে বিজেপির ‘ত্রিরঙ্গা যাত্রা’-র অনুমতি মেলেনি। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই রবিবার এই মিছিল বের করে গেরুয়া শিবির। তারপরই বিপত্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে। সেখানে হাজির ছিলেন ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর প্রিয়া বর্মা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। সেসময় প্রিয়া কয়েকজন বিক্ষোভকারীর কলার ধরে ডেনে নিয়ে যান। এমনকী কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে ধাক্কা মারতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিযোগ, এই সময় অজ্ঞাত পরিচায় এক বিক্ষোভকারী প্রিয়ার চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে দেন। ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওটিতে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর নিধি নিবেদিতাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর ছবি ভাইরাল হয়েছে। সেইসময় এক বিক্ষোভকারীর কলার চেপে ধরে চড় মারতে দেখা যায় তাঁকে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। এমনকী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী জখম হয়।

 

[আরও পড়ুন : নির্ভয়া কাণ্ড: ধর্ষণের সময় নাবালক ছিল না পবন, দোষীর আরজি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]

ঘটনাপ্রসঙ্গে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর নিধি নিবেদিতা জানান, “মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাও ৫০-১০০জন জমায়েত করেছিলেন। তাদের আটকানোর চেষ্টা করতেই মহিলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। মহিলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুলের মুঠি ধরে মারধর করা হয়। এমনকী লাথিও মারা হয়। প্রকাশ্যে তাঁদের বিবস্ত্র করারও চেষ্টা করা হয়।” এদিকে এই ঘটনায় ‘কালাদিবস’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শিবরাজ সিং চৌহানের দাবি, “মধ্যপ্রদেশ সরকার আম জনতার সঙ্গে হিটলারের মতো আচরণ করছে। যা মেনে নেওয়া হবে না।”  একইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “ডিস্ট্রিক কালেক্টরকে কে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের মারধরের ক্ষমতা দিয়েছে?” পালটা কংগ্রেসের দাবি, “বিনা অনুমতি মিছিল করে্ ও মহিলা আধিকারিকদের হেনস্থা করে বিজেপি তাদের চরিত্র বুঝিয়ে দিয়েছে।” এদিকে গোটা ঘটনায় ১২৪ জনের বিরুদ্ধে দুটি FIR দায়ের করা হয়েছে।     

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement