Advertisement
Advertisement
ওড়িশা

সচেতনতার নজির গড়ে করোনা মুক্ত ওড়িশার এক গ্রাম, খোলা দোকান-পাট

অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানের দেওয়ালে লেখা সচেতনতার বার্তা।

Odisha rayagada district express awareness,they pased poster on wall
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:April 28, 2020 6:35 pm
  • Updated:April 28, 2020 10:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সচেতনতার নজির ওড়িশার রায়াগাডা জেলায়। কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে রাজ্যে সমস্ত দোকান খোলা হলেও কড়া হাতে নিয়ম মেনে চলছেন এই জেলার প্রতিটি বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত এই জেলায় আক্রান্ত হননি কেউই।

করোনার আবহে ত্রস্ত বিশ্ব। প্রতিটি রাজ্যের মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এই মারণ ভাইরাসে। শুধুমাত্র সচেতনতার জোরে ভাইরাসের করাল আক্রমণের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন ওড়িশার রায়াগাডা জেলার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে এই জেলার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক সারভানা বিবেক একটি অত্যাবশ্যকীয় দোকানে গিয়ে বিক্রেতাকে সতর্ক করেন। তাঁর দোকানে একটি প্ল্যাকার্ড রেখে দিয়ে আসেন পুলিশ অধিকর্তা। তাতে লেখা, মাস্ক না পড়লে প্রবেশ নিষেধ (No Mask, No Entry)। এই প্ল্যাকার্ড দোকানে রেখে বিক্রেতাকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এই জেলার কেউ করোনা আক্রান্ত না হলেও সচেতনতায় ফাঁক রাখা যাবে না। ভবিষ্যতে এই দোকান থেকে যেন করোনা না ছড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সচেতনতার ক্যাম্পেনে বেরিয়ে পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে দোকানগুলিতে যান সেখানে গিয়ে সচেতনতার প্রচার করেন। ও সকলকে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্বের গুরুত্ব বোঝান। লকডাউনে দোকানে কিছু কিনতে এসে কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওা হবে বলে জানান হয়। দোকানদারদের দায়িত্ব দেওয়া হয় যে ক্রেতারা নিয়ম মেনে চলছেন কিনা তা দোকানিরাই লক্ষ্য করবেন। প্রতিটি দোকানের দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়, মাস্ক না পরলে জিনিস বিক্রি করা হবে না। এই লেখাই ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সবসময় সচেতন করবে বলে মত পুলিশ আধিকারিকের।

Advertisement

[আরও পড়ুন:কোটায় আটকে থাকা পড়ুয়াদের দায়িত্ব নিতে হবে, বিহার সরকারকে নির্দেশ পাটনা হাই কোর্টের]

ওড়িশার বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সচিব অসিত কুমার ত্রিপাঠি জানান, রাজ্য সরকার পুর কমিশনার ও জেলা শাসকদের প্রতিটি জেলার কোন কোন দোকান খোলা হচ্ছে ও কতক্ষণ তা খুলে রাখা হচ্ছে তা একটি তাললিকা বানিয়ে দেওয়ার ও নির্দেশ দেওয়া হয়। সারভানা বিবেক এদিন জানান সামাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রথমে আমাদের চারিত্রিক পরিবর্তন আনা জরুরী। আচরণের পরিবর্তণের জন্য প্রয়োজন সামাজিক গুরুত্বতাকে বোঝা।আগে লকডাউনে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল তাই সংক্রমণের আশঙ্কা কম ছিল এখন সব দোকান খুলে দেওয়ায় তাই বাড়ছে আশঙ্কা।

[আরও পড়ুন:মুসলিম সবজি বিক্রেতাদের বয়কটের নিদান, সমালোচনার মুখে বিজেপি বিধায়ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement