Advertisement
Advertisement
দিল্লির হিংসা

মোতায়েন এক হাজার পুলিশকর্মী, ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা! তাতেও হিংসা কমছে না দিল্লিতে

উত্তরপূর্ব দিল্লিতে ঢুকতে পারছে না অ্যাম্বুল্যান্সও, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাইকে।

Delhi Violence: 1000 thousand police officers deployed
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 25, 2020 6:33 pm
  • Updated:February 25, 2020 7:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে হিংসা কী ভয়াবহভাবে ছড়িয়েছে, তা আন্দাজ করা যায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে। উত্তরপূর্ব দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যেই ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় রুট-মার্চ চালাচ্ছে অন্তত ১ হাজার পুলিশকর্মী। কিন্তু, তাতেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি দিল্লির পরিস্থিতি। এই হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন।

Delhi

Advertisement

বরং হিংসা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাঁর হাতে নেই। তাই, চাইলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করার উপায় নেই কেজরিওয়ালের। সকাল থেকে তাঁকে দেখা গিয়েছে দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে ছুটতে। সব জায়গায় অবশ্য তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে একপ্রস্থ বৈঠক করেছেন কেজরিওয়াল। অমিত শাহ নিজে আলাদা আলাদাভাবে নিজের দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের রাস্তায় নামাতে। কন্ট্রোল রুমে অভিজ্ঞ অফিসারদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনওরকম গুজব সহজে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। কিন্তু, এত কিছুর পরও পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নয়। যা পরিস্থিতি তাতে, যে কোনও সময় সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যা রাজধানী দিল্লির জন্য লজ্জার মুহূর্ত হবে বলে দাবি করছে বিরোধীরা।যদিও দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ আধিকারিক এমএস রানধাওয়া জানিয়েছেন, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রিত। পুরো উত্তরপূর্ব দিল্লিতে প্রয়োজনীয় পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা উত্তরপূর্ব দিল্লিতে জারি ১৪৪ ধারা। সেসব উপেক্ষা করেও বিক্ষোভ দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৫৬ জন আধাসেনা কর্মী আহত হয়েছেন। এক পুলিশ আধিকারিকের মৃত্যুর পাশাপাশি ১৩০ জন আহত হয়েছেন।

 

 

[আরও পড়ুন: মানবিক! দিল্লিতে মারমুখী জনতার কবল থেকে মুসলিম দম্পতিকে বাঁচালেন বিজেপি কাউন্সিলর]

উত্তরপূর্ব দিল্লির একাধিক এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। যাঁরা হিংসায় আহত হয়েছেন তাঁদের নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বাইক বা অটোতে চাপিয়ে। যে এলাকায় হিংসা ছড়িয়েছে, সেই সব এলাকায় অ্যাম্বুল্যান্সও ঢুকতে দিচ্ছে না বিক্ষোভকারীরা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পুলিশ যথাসম্ভব ধৈর্য্য ধরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বিক্ষোভকারীদের উপর কোনওরকম হিংসাত্মক পদক্ষেপ না করেই তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে দিল্লি হিংসার জেরে এরাজ্যেও পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে। নবান্ন থেকে প্রতিটি থানায় এসআইদের কাছে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement