সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জল্পনা ছিল তিনি হয়তো শিবির বদলাতে পারেন। এনডিএ ছেড়ে যোগ দিতে পারেন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে। বিশেষ করে চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে বিজেপির জোটের পর অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডির জন্য বিরোধী শিবিরে নাম লেখানোটাই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু করলেন না জগন। স্পিকার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীকেই সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।
গতবারের স্পিকার ওম বিড়লাকেই (Om Birla) স্পিকার পদে মনোনয়ন দিয়েছে এনডিএ (NDA)। অন্যদিকে ডেপুটি স্পিকার পদ না পেয়ে পালটা কে সুরেশকে মনোনয়ন দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট (INDIA Allience)। যদিও এ প্রসঙ্গে সংসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর দাবি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার নিয়ে দরাদরি করা উচিত নয়। স্পিকার পদের জন্য কখনওই ভোটাভুটি হয়নি। এটা কাম্য নয়। তবে দুপক্ষই ভোটে বাজিমাত করতে শরিকদের কাছে টানার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাতেই প্রথম সাফল্য পেল বিজেপি।
সরাসরি এনডিএ জোটে না থাকলেও বাইরে বাইরে থেকে বিজেপির প্রার্থী ওম বিড়লাকেই স্পিকার পদে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। এমনটাই দাবি দলীয় সূত্রে। লোকসভায় ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সাংসদ সংখ্যা ৪। এমনিতে এনডিএ শিবিরের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। সুতরাং ওম বিড়লার জয়ে বিশেষ সংশয় নেই। সেই সঙ্গে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের ৪ সাংসদ যোগ হলে সোনায় সোহাগা হবে।
জগন রেড্ডি ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। এই পাঁচ বছর এনডিএ বা তৎকালীন ইউপিএ কোনও শিবিরে না থাকলেও অসময়ে বিজেপিকেই সমর্থন করছেন। বহু গুরুত্বপূর্ণ বিলেই মোদি সরকার জগনের সমর্থন পেয়ে এসেছে। কিন্তু চব্বিশের লোকসভা তথা অন্ধ্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি হাত মিলিয়ে নেয় জগনের বিরোধী চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে। নির্বাচনে ভরডুবি হয় জগনের। অন্ধ্রের ১৭৫টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ১১টিতে জিতেছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস। লোকসভায় জগনের ঝুলিতে গিয়েছে মাত্র ৪ আসন। মনে করা হচ্ছিল বিজেপি-টিডিপি জোট হয়ে যাওয়ায় বিজেপির থেকে দূরত্ব বাড়াবেন জগন। যা আগামী দিনে সংসদে সমস্যায় ফেলতে পারে এনডিএ সরকারকে। কিন্তু সেপথে না হেঁটে পুরনো শরিকের পাশেই দাঁড়াল ওয়াইএসআর কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.