সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমিকার পরিবারের হাতে নৃশংস ভাবে খুন হলেন যুবক। বেধড়ক মারধরের পর তাঁকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে যুবতী। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবতীর বাবা, ভাই-সহ অন্য অভিযুক্তদের। বিহারের (Bihar) এই ভয়ংকর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিথিলার (Mithila) আরারিয়া শহরের নিকটবর্তী রহরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছোটু যাদব (২০)। তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বরাউয়া গ্রামের বাসিন্দা সমবয়সী যুবতীর। যদিও যুবতীর পরিবারের আপত্তি ছিল এই সম্পর্কে। বুধবার ছোটুকে নিজের গ্রামে ডেকে পাঠায় যুবতী। সময় মতো নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছান যুবক। যুবতীর সঙ্গে খানিকক্ষণ কথা বলার পরেই সেখানে উপস্থিত হয় যুবতীর বাবা ধীরেন্দ্র যাদব, ভাই ও জামাইবাবু। তিনজন মিলে জোর করে ছোটুকে নিজেদের বাড়িতে টেনে নিয়ে যায়। তারপর একটি ঘরে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে তারা। এমনকী ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হয়। এরপরই মৃত্যু হয় ছোটু যাদবের।
এদিকে ছোটুর পরিবার খবর পায় ধীরেন্দ্র যাদবের বাড়িতে টেনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধর করা হচ্ছে। তারা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ধীরেন্দ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালায়। যদিও বহু ওই বাড়িতে খুঁজে ছোটুর সন্ধান মেলেনি। যেহেতু দেহ লুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্তরা। এমনকী এই বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলেও জানায়।
এরপর পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। পুলিশ এসে ধীরেন্দ্র যাদবের ঘর থেকেই ছোটুর দেহ উদ্ধার করে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে মূল অভিযুক্ত ধীরেন্দ্র যাদব হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে। অন্যদিকে এই হত্যার পরেই মৃত যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে যুবতী।
প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনে, পারিবারিক বিবাদে খুনের ঘটনা মাঝমাঝেই ঘটে। ক’দিন আগে বিহারে সেলুনে ঢুকে জামাইকে গুলি খুন করে শ্বশুর। জামাইবাবুকে খুন করতে বাবাকে সাহায্য করল ছেলেও। খুনের ভয়ংকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে থানায় গিয়ে আত্মসমপর্ণ করে প্রধান অভিযুক্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.