সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ম, অন্ধবিশ্বাসের নামে প্রাণ নেওয়ার নজির এ দেশে কম নয়। কিন্তু কোথাও কোথাও এখনও বেঁচে রয়েছে মনুষত্ব। সে কথাই প্রমাণ করলেন বিহারের মহম্মদ আশফাক। প্রাণের মূল্য তাঁর কাছে ধর্মের থেকেও বড়। এতদিনের রমজানের রোজা তিনি এক লহমায় ভেঙে দিলেন। কেন? এসএসবি জওয়ান রমেশ সিংয়ের দুই দিনের কন্যাসন্তানের প্রাণ বাঁচানোর জন্য।
অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত রক্ষা করছেন রমেশ সিং। সন্তানসম্ভবা ছিলেন তাঁর স্ত্রী আরতি। দিন দুই আগে দ্বারভাঙার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। তবে জন্মের পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে একরত্তি। রক্তের প্রয়োজন ছিল তার। কিন্তু কিছুতেই তা মিলছিল না। কারণ শিশুর ব্লাডগ্রুপ ছিল রেয়ার। ‘ও নেগেটিভ’ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন ছিল তার। যা হাসপাতালে ছিল না। শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন পরিবার-পরিজনরা। সেই পোস্টের মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পারেন আশফাক। তাঁরও ব্লাডগ্রুপ ‘ও নেগেটিভ’। তবে চিকিৎসকরা আশফাকের রক্ত নিতে অস্বীকার করেন। জানান, উপোস করে থাকায় তাঁর রক্ত নেওয়া সম্ভব নয়। দ্বিধা একবারের জন্যও আসেনি যুবকের মনে। সঙ্গে সঙ্গে রোজা ভাঙতে রাজি হয়ে যান তিনি। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর শিশুকে রক্ত দেন।
[মেলার মাঠে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল নাগরদোলা, প্রাণ গেল খুদের]
পরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশফাক জানান, রোজা পরেও রাখা যাবে। জীবন বাঁচানো বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে তাঁর। তার উপরে শিশুকন্যা দেশের জওয়ানের সন্তান। সে কারণেও তাকে বাঁচানো অবশ্য কর্তব্য বলে মনে হয়েছে বিহারের যুবকের। আশফাকের এই কীর্তি ফের প্রমাণ করে দিল, ধর্ম যতোই বড় হোক, তার চেয়েও বড় মনুষত্ব। এমনটাই বলছেন অনেকে।
Darbhanga: Mohammad Ashfaq broke his ‘roza’ (fast observed during Ramzan) to donate blood for a 2-day old child of SSB jawan Ramesh Singh, says, ‘I thought saving a life is more important, knowing that she is daughter of a security personnel motivated me more.’ #Bihar (27.05.18) pic.twitter.com/c1YogDnCGG
— ANI (@ANI) May 28, 2018
[পেট বড় বালাই, কুলির কাজ করেই দিন গুজরান এই গৃহবধূর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.