প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করে দিলেও ফের মোবাইল সংযোগ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার-যোগ বাধ্যতামূলক করার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে তার জন্য কেন্দ্র আইনসভায় কোনও বিল আনছে কি না, তিনি সে সম্পর্কে কিছু জানাননি। গত মাসেই শীর্ষ আদালত আধারের সাংবিধানিক বৈধতা মেনে নিয়েও, গ্রাহকের পরিচয় জানতে তাঁর ১২ অঙ্কের বায়োমেট্রিক ভিত্তিক ইউনিক আইডেন্টিটি নম্বর টেলিকম সংস্থার মতো বেসরকারি হাতে দেওয়ায় আপত্তি জানায়।
শনিবার জেটলি বলেন, এই সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের রায় খুব সুনির্দিষ্ট। কারণ, এখানে আধারের বৈধতা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জেটলি এদিন একটি ফেসবুক পোস্টে পেট্রোপণ্যের দাম কমানো নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর শরিকদের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। জেটলি বলেন, “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। কিন্তু আমাদের এখানে এমন একটি ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সহায়তা প্রকল্প বা ভরতুকির মাধ্যমে সরকার থেকে সব শ্রেণির মানুষকে অনেক টাকা দেওয়া হয়। সেটিই আধারের মূল লক্ষ্য।”
তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই আধারের ব্যবহার মেনে নিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেবলমাত্র দু’টি ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হয়েছে। কিন্তু, মোবাইল ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আধার-সংযোগ আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ফেরানো যেতে পারে। তবে এর জন্য সরকার সংসদে আইন আনবে কি না, সে সম্পর্কে জেটলি কিছু বলেননি।
কেন্দ্র সরকার পেট্রোপণ্যের দাম আড়াই টাকা কমানোর পর, এবার সেই প্রসঙ্গে বিরোধীদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেটলি। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি টুইট করে বা টিভিতে ‘বাইট’ দিয়ে কমানো যাবে না। তাঁর মতে, সমস্যা অনেক বেশি গভীর। এদিন একটি ফেসবুক পোস্টে জেটলি লিখেছেন, অ-বিজেপি এবং অ-এনডিএ পরিচালিত কয়েকটি রাজ্য সরকার সেখানকার মানুষকে কোনও রকম ছাড় দিতে রাজি নয়। তাহলে কি ধরে নিতে হবে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং তাঁর ‘বন্ধু’রা টুইট করতেই পছন্দ করেন। তাদের কি মানুষের স্বস্তির ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত না! একদিন আগেই কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “টাকার দাম পড়ছে না, ফেলে দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।” এরই প্রতিক্রিয়া দিলেন অর্থমন্ত্রী। অন্যদিকে, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমাতে কিছুটা ছাড় দিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকার রাজ্যগুলিকেও এ ধরনের পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন, আগে কেন্দ্রের উচিত পেট্রোল-ডিজেলের উপর থাকা ১০ টাকা সেস প্রত্যাহার করে নেওয়া। সেটা না করা পর্যন্ত রাজ্যকে নিজেদের অংশ ছাড়তে বলা উচিত নয়।
[মহাজোটে ধাক্কা! রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধতে নারাজ অখিলেশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.