Advertisement
Advertisement
Gorakhpur Link Expressway

সড়কপথেই উন্নয়নের জোয়ার, যোগীর উত্তরপ্রদেশে ‘শিল্প করিডর’ গোরখপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে

এই মহাসড়ক ধরেই সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে ঐতিহ্যশালী লখনউ শহরে।

Yogi govt enhances road connectivity with Gorakhpur Link Expressway

এক্সপ্রেসওয়ের কাজ খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 27, 2024 3:39 pm
  • Updated:December 27, 2024 3:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নয়নের জোয়ার উত্তরপ্রদেশে। এবার সড়কপথে বিপ্লব ঘটাচ্ছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। এমনই এক প্রকল্পের নাম ‘গোরখপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে’। যা গোরখপুরের সঙ্গে আজমগড়কে যুক্ত করেছে। এই মহাসড়ক ধরেই সহজে পৌঁছে যাওয়া যাবে ঐতিহ্যশালী লখনউ শহরে। যে চারাটি জেলার মধ্যে দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েটি গিয়েছে সেখানকার ভূগোল নির্মাণের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। উঁচু-নিচু জায়গায় নির্মাণ চালিয়ে যাওয়া ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে কঠিন ছিল। কিন্তু সেই অসাধ্য সাধন করে ফেলেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তাঁর দেখানো পথেই বড় সাফল্য পেল উত্তরপ্রদেশ সরকার।

জানা গিয়েছে, গোরখপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের জন্য মূল্য ৭ হাজার ২৮৩ কোটি ধার্য করা হয়। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে অল্প সময়ের মধ্যে ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে অল্পবিস্তর যান চলাচল। নতুন বছরে এক্সপ্রেসওয়েটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য জোরকদমে কাজ চলছে। যোগী আদিত্যনাথ যে প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম এটি।

Advertisement

এক্সপ্রেসওয়েটি জৈতপুর গ্রামের কাছে অবস্থিত গোরখপুর বাইপাস এনএইচ-২৭ থেকে শুরু হয় এবং পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আজমগড়ের সালারপুরে শেষ হয়েছে। গোরখপুর এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে লখনউ, আগ্রা এবং দিল্লি পর্যন্ত গাড়ি ছুটবে দ্রুতগতিতে। এছাড়া এই এক্সপ্রেসওয়ে গোরখপুর, আম্বেদকরনগর, সন্ত কবির নগর, এবং আজমগড় জেলাকে বিশেষভাবে উপকৃত করেছে। কারণ আগে এই অঞ্চলগুলোয় পৌঁছতে দীর্ঘ সময় লাগত। বাজে রাস্তার কারণে সমস্যায় পড়তেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার সেই দিন অতীত। খুব সময়ে এই চারটি জেলায় পৌঁছে যাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়, সেখানকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেও যোগাযোগ আরও বাড়বে, বন্ধন মজবুত হবে।

পুরোপুরীভাবে চালু হওয়ার পর আগামী দিনে এই এক্সপ্রেসওয়ের নিয়ন্ত্রিত এন্ট্রি পয়েন্টগুলো শুধুমাত্র জ্বালানি খরচ কমাতে এবং যানবাহনের জন্য সময় বাঁচাতেই নয়, পরিবেশ দূষণ রোধেও সাহায্য করবে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আলাদা গতি দেওয়ার পাশাপাশি, কৃষি, বাণিজ্য, পর্যটন এবং অন্যান্য শিল্পকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। বিভিন্ন উৎপাদন কেন্দ্র এবং কৃষি অঞ্চলকে যুক্ত করার মাধ্যমে এই এক্সপ্রেসওয়ে মূল শিল্প করিডোর হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশজুড়ে সড়কপথে যোগাযোগ বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন নতুন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আর এই সবটাই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের অটল সংকল্প ও উৎসর্গের ফল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement