হেমন্ত মৈথিল, গোরক্ষপুর: মকর সংক্রান্তির পূর্ণ লগ্নে বাবা গোরক্ষনাথকে খিচুড়ি নিবেদন করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যিনি ‘গোরক্ষপীঠধীশ্বর’ও বটে। মঙ্গলবার ব্রাহ্মমুহূর্তে ভোর ৪টের সময় নাথ সম্প্রদায়ের পবিত্র ঐতিহ্য মেনে গোরক্ষনাথ মন্দিরে শিবের অবতার মহাযোগী গোরক্ষনাথকে খিচুড়ি নিবেদন করেন যোগী। এইসঙ্গে গোরক্ষনাথের কাছে সাধারণ মানুষের কল্যাণ, সমৃদ্ধি এবং মঙ্গল কামনা করেন তিনি।
এদিকে মহাকুম্ভ সোমবার ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হলেও মঙ্গলবার ছিল মকর সংক্রান্তি। যা মহাকুম্ভে পুণ্যস্নানের অন্যতম দিন। এদিন সাধারণ নাগরিক, সাধু-সন্ত এবং ভক্তদের উদ্দেশ্যে মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানান যোগী। তিনি বলেন, “ভারতের সনাতন ধর্মের গভীরে প্রথিত এই উৎসব দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পালিত হয়। অসমে বিহু, পাঞ্জাবে লহরী, দক্ষিণে পোঙ্গাল, বাংলায় মকর, মহারাষ্ট্রে তিলওয়া সংক্রান্তি এবং উত্তর ভারতে খিচুড়ি সংক্রান্তি হিসাবে পালিত হয়ে থাকে।” আরও বলেন, মকর সংক্রান্তি হল আনন্দ এবং সংহতির উৎসব। এই ধরনের উৎসবের ফলে মানুষ আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ থাকে, সম্প্রীতি বজায় রাখে।
মকর সংক্রান্তির শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তীর্থস্থানগুলিকে পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানান। যেখানে সেখানে প্লাস্টিক এবং নোংরা ফেলতে নিষেধ করেন। সবশেষে বলেন, সাধু ও ভক্তদের সুষ্ঠু পরিষেবা দিতেই সরকারি প্রশাসন এবং অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী দিনরাত এক করে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ১৪৪ বছর পর এবারের মহাকুম্ভ। প্রয়াগরাজে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে ৪০ কোটি পুণ্যার্থীর জন্য গড়ে তোলা হয়েছে এক অস্থায়ী নগরী। ১৫ বর্গমাইল এলাকায় গড়ে তোলা সেই অস্থায়ী নগরীর আয়তন নিউইয়র্ক নগরের ম্যানহাটান বরো এলাকার দুই–তৃতীয়াংশ। ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভারতে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সবচেয়ে বড় সমাবেশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.