সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের ভোটপ্রচারে সম্মুখসমরে যোগী আদিত্যনাথ-মল্লিকার্জুন খাড়গে। খাড়গে অভিযোগ করেছিলেন, আজকাল সাধুবেশের নেতারা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছেন। পালটা যোগী খাড়গেকে তাঁরই অতীত মনে করালেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “মনে করে দেখুন, রাজাকাররা আপনার বাড়িও পুড়িয়েছে।”
‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ নিজের এই স্লোগান প্রতিষ্ঠিত করতে উত্তরপ্রদেশে প্রাণপাত করছেন যোগী। দিনরাত প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। বস্তুত যোগীর উগ্র হিন্দুত্বের প্রচারে মহারাষ্ট্রে মেরুকরণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাতেই আপত্তি কংগ্রেস সভাপতির। খাড়গে সোমবার বলেছিলেন, “আজকাল অনেক গেরুয়াধারী সাধুদের দেখা যায়, নেতা হয়ে বসে আছেন। কেউ কেউ তো আবার ন্যাড়া মাথা করে মুখ্যমন্ত্রীও হয়ে বসে আছেন।” খাড়গে বলেন, “কোনও সাধু কখনও বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গের মতো কথা বলতে পারেন না।”
মঙ্গলবার খাড়গের সেই আক্রমণের জবাব দিতে গিয়ে যোগী তাঁর অতীত খুঁচিয়ে বের করে এনেছেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আজকাল দেখছি খাড়গেজি আমার উপর খুব রেগে যাচ্ছেন। আমি ওকে বয়সের জন্য সম্মান করি। খাড়গেজি আমার উপর রাগ করে কী হবে। হায়দরাবাদের নিজামের উপর রাগ করুন। নিজামের রাজাকাররাই তো আপনার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। হিন্দুদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। আপনার মা, বোনকে পুড়িয়ে দিয়েছিল।” যোগীর তোপ, “সেই সত্যি আজকের দিনে তুলে ধরুন। নাকি ভয় পাচ্ছেন, আপনার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নষ্ট হয়ে যাবে।” উল্লেখ্য, মল্লিকার্জুন খাড়গের পূর্বপুরুষরা নিজামের শাসনাধীন হায়দরাবাদের বাসিন্দা ছিলেন। নিজামের আমলেই রাজাকারদের অত্যাচারে মৃত্যু হয়ে খাড়গের পরিবারের বহু সদস্যের।
আসলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতগণনার দাবি তুলে মহারাষ্ট্রে বিজেপির ‘হিন্দুত্ব’ ভোটব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে পেরেছিল কংগ্রেস। অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছিল সংঘ তথা বিজেপির হিন্দু ঐক্যের ডাক। লোকসভা ভোটের আগে ফের সেই হিন্দু ঐক্যকে পুনরুত্থান করতে মরিয়া বিজেপি। সেই লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে ‘ স্লোগানকে হাতিয়ার করছে গেরুয়া শিবির। যোগীও দফায় দফায় প্রচার করছেন মারাঠাভূমে। সেটাই রুখে দেওয়ার চেষ্টা করছে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.