ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিজে তো সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে খরচ করছেনই না, উলটে কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকাও আটকে দিচ্ছেন। রীতিমতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) বিরুদ্ধে। শনিবারই সংখ্যালঘু মন্ত্রক সংসদে একটি তথ্য পেশ করেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল, তার ১০ শতাংশও খরচ করেনি উত্তরপ্রদেশ সরকার। অর্থাৎ, দেশের সংখ্যালঘু জনসংখ্যার একটা বড় অংশ উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) বসবাস করলেও তাঁদের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ৯০ শতাংশের বেশি টাকা ব্যবহারই করা হয়নি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলির সাংসদরা রীতিমতো রাগে অগ্নিশর্মা।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের (Union ministry of minority affairs) দেওয়া তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করেছিল প্রায় ১৬০ কোটি টাকা। কিন্তু যোগী আদিত্যনাথের সরকার খরচ করেছে মাত্র ১৬ কোটি টাকার কিছু বেশি। বাকি টাকা অব্যবহৃত হয়ে রয়ে গেছে। এর আগে অখিলেশ যাদবের সরকার থাকাকালীন উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে অনেক বেশি খরচ হতে। মুখ্যমন্ত্রিত্বের শেষ বছর অখিলেশ সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কেন্দ্রের বরাদ্দের ৬২ শতাংশ খরচ করেছিলেন। কিন্তু যোগী সরকারের আমলে তা একধাক্কায় অনেকটা কমেছে। যা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিএসপি সাংসদ দানিশ আলি। তিনি বলছেন,”উত্তরপ্রদেশের মুসলিম এলাকাগুলোতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির টাকাটাও নেই। কেন্দ্র যদি টাকা ছেড়েই থাকে তাহলে রাজ্য সরকার কেন আটকাচ্ছে? কেন্দ্রের উচিত উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘুদের জন্য উপযুক্ত পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা। আর রাজ্য সরকারের উচিত তা সঠিকভাবে খরচ করা।”
উত্তরপ্রদেশের আমরোহা, মোরাদাবাদের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকার সাংসদরা বলছেন,”এই খরচের অংকটাই মুখ্যমন্ত্রীর মুসলিম বিরোধী মানসিকতার প্রমাণ দেয়।” উল্লেখ্য, যোগী আদিত্যনাথ নিজেকে হিদুত্ববাদী আইকন হিসেবে তুলে ধরতেই পছন্দ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগও নেহাত কম নয়। তবে, এবার যে অভিযোগ উঠল তা রীতিমতো উদ্বেগের, অন্তত বিরোধী শিবির তেমনটাই মনে করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.