ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই ইয়েস ব্যাংক দুর্নীতি মামলার তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন ইডি (ED) -র আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার ইয়েস ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুর, ডিএইচএফএলের কর্ণধার কপিল ও ধীরাজ ওয়াধাওয়ানের ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলেন তাঁরা।
Enforcement Directorate (ED) attaches assets worth over Rs 2,200 crore of Rana Kapoor and others in the Yes Bank money laundering case. Attached assets include property in New York, London and Mumbai: ED pic.twitter.com/Wr4u03uAXt
— ANI (@ANI) July 9, 2020
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইয়েস ব্যাংক (Yes Bank) -এর কর্ণধার রানা কাপুর, ডিএইচএফএল (DHFL) -এর কর্ণধার কপিল ও ধীরাজ ওয়াধাওয়ানের ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রানা কাপুরের মুম্বইয়ের পেডার রোড এলাকার একটি বাংলো, মালাবার হিলসের ছটি ফ্ল্যাট, দিল্লির অমৃতা শেরগিল মার্গের ৪৮ কোটি টাকার একটি সম্পত্তি রয়েছে। এছাড়াও আমেরিকার নিউ ইয়র্কে একটি ও লন্ডনে দুটি ফ্ল্যাট, অস্ট্রেলিয়ায় একটি ব্যবসায়িক সম্পত্তি ও পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আর কোথায় কোথায় রানা কাপুর ও তাঁর সহযোগীদের সম্পত্তি রয়েছে তার সন্ধান চলছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ধুঁকছিল ইয়েস ব্যাংক। এবছর ফেব্রুয়ারির শেষের দিক থেকে ব্যাংকটির অবস্থা আরও খারাপ হয়। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে গ্রাহকদের লেনদেন নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাংকের শেয়ারের দাম হু হু করে পড়তে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। ব্যাংকের পুনর্গঠনের জন্য নয়া স্কিমও ঘোষণা করে RBI। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংক কর্তাদের বেনিয়মের কথাও সামনে আসে। তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এরপরই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রানা কাপুরের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মার্চের সাত তারিখ রানা কাপুরকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মুম্বইয়ের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ জেরার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.