সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) লড়াইয়ে তিনি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছেন। প্রতিপক্ষ দ্রৌপদী মুর্মু এমনিতেই সংখ্যার বিচারে এগিয়ে আছেন। তার উপর হঠাত মহারাষ্ট্রের ডামাডোলে বিরোধী শিবির ছন্নছাড়া। শেষপর্যন্ত মহারাষ্ট্রের সরকার বাঁচানো সম্ভব না হলে বিরোধীদের মনোবলেও ধাক্কা লাগবে। কিন্তু যশবন্ত সিনহা লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ছেন না। বিরোধীদের একত্রিত করার লক্ষ্যে সব বিরোধী নেতাকে চিঠি দিলেন তিনি।
শুক্রবার রাতে যশবন্ত (Yashwant Sinha) বিরোধী নেতাদের চিঠি দিয়ে বলেছেন, সংবিধানের রক্ষাকর্তা হিসাবে নিরপক্ষতা বজায় রেখে কাজ করতে চান তিনি। সংবিধানের মূল ধারাকে রক্ষা করতে চান। যশবন্তর চিঠিতে বলা হয়েছে,”আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, নির্বাচিত হলে নিরপেক্ষভাবে সংবিধানের মূল ভাবনাকে রক্ষা করব। আমি গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আলোকে স্তিমিত হতে দেব না।”
সিনহা বলছেন, রাষ্ট্রপতি হলে আমি কৃষক, শ্রমিক এবং বেকার যুবসমাজ, মহিলা এবং প্রান্তিক নিপীড়িত মানুষের আওয়াজ হয়ে উঠব। মোদি (Narendra Modi) জমানায় বিরোধীদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এই সরকার স্বশাসিত সংস্থাগুলির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। যশবন্ত বলছেন, আমি রাষ্ট্রপতি হলে কোনও স্বশাসিত সংস্থার অপব্যবহার হতে দেব না। ভারতের সংসদ যাতে কোনওভাবেই স্বৈরাচারে আক্রান্ত না হয় তা নিশ্চিত করব।
ইতিমধ্যেই মনোনয়ন দিয়ে ফেলেচনে যশবন্তর প্রতিপক্ষ দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। তাঁর মনোনয়ন পেশ পর্বের অনুষ্ঠানে শাসক শিবির রীতিমতো চাঁদের হাঁট বসিয়েছিল। বিজেপির (BJP) শক্তি প্রদর্শনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু যশবন্তের মনোনয়ন জমা দেওয়া ঘিরে বিরোধী শিবিরে তেমন কোনও পরিকল্পনার খবর এখনও পর্যন্ত শোনা যাচ্ছে না। তবে যশবন্ত প্রচারে পিছিয়ে থাকতে নারাজ। ২৭ জুন অর্থাৎ সোমবার তাঁর মনোনয়ন। তারপরই বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে ভোটের প্রচার করতে চান তিনি। বিরোধীদের লেখা চিঠিতে সেকথা জানিয়েওছেন বিরোধী শিবিরের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.