সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর (Atal Bihari Vajpayee) ঘনিষ্ঠ। আর এখন বিজেপির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিরোধীদের প্রথম পছন্দ। মতাদর্শগত দিক থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েও নিজের গ্রহণযোগ্যতা বজায় রাখতে পেরেছেন যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। দলমত নির্বিশেষে তাঁর এই গ্রহণযোগ্যতাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সবচেয়ে বড় অস্ত্র হতে চলেছে বিরোধী শিবিরের সম্মিলিত প্রার্থীর।
যশবন্ত সিনহা কেরিয়ার শুরু করেছিলেন আইএএস হিসাবে। ১৯৮৪ সালে জনতা পার্টি (Janata Party) থেকে নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেন সিনহা। ১৯৯০ সালের চন্দ্রশেখর সরকারের অর্থমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। এরপর জনতা দল ভেঙে গেলে তিনি বাজপেয়ীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। ক্রমেই বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন।
একসময়ে বিজেপির (BJP) দাপুটে নেতা ছিলেন। মন্ত্রিসভাতেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। বাজপেয়ী মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রকের পাশাপাশি সামলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকও। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কার্যত রাজনৈতিক সন্ন্যাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয় যশবন্তকে। যার জেরে মোদি-শাহ (Amit Shah) জুটির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০১৯ লোকসভার আগে থেকেই মোদি-শাহ জুটিকে হারাতে রীতিমতো কোমর বেঁধে নামেন তিনি। উনিশের আগে মমতার হয়ে রাজ্যে ভোটপ্রচার করেছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, “২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই (Mamata Banerjee) প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে চাই৷’’ এমনকী, উনিশের ভোটের আগে মমতা যে একের বিরুদ্ধে এক ফরমুলায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার অঙ্গীকার করেছিলেন, সেই ফরমুলাকেও সমর্থন করেন যশবন্ত।
তারপর থেকেই তাঁর এবং মমতার সখ্য সুবিদিত। গত বছর মার্চ মাসে তিনি সরকারিভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিও নিযুক্ত হন। জাতীয় স্তরে তৃণমূলের বক্তব্য তুলে ধরার দায়িত্ব পান তিনি। তৃণমূলে থাকাকালীনও কমবেশি সব বিরোধী দলের সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর। সেকারণেই মমতা যখন যশবন্তের নাম রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে প্রস্তাব করেন, একবাক্যে তাঁকে সমর্থন করেন অন্য বিরোধীরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.