Advertisement
Advertisement

Breaking News

Joshimath

যোশিমঠ বাঁচাতে সপ্তাহভর যজ্ঞের আয়োজন, নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হল কিছু বাসিন্দাকে

যোশিমঠ বাঁচানোই সরকারের প্রধান কাজ, বললেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।

Yajna to protect Joshimath, residents rescued to safe place | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 9, 2023 2:42 pm
  • Updated:January 9, 2023 9:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোশিমঠের (Joshimath) ৬৮টি বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা করলেন উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami)। ওই অঞ্চলের বাকি বাসিন্দাদেরও খুব তাড়াতাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, যোশিমঠের মঙ্গলকামনায় যজ্ঞ শুরু করছেন নরসিংহ মন্দিরের শংকরাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ স্বরস্বতী। সুপ্রিম কোর্টেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, যোশিমঠ নিয়ে আগেও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

রবিবারেই ধামি বলেছিলেন, বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে যোশিমঠ। এখানকার পৌর এলাকাগুলিকে ‘বিপর্যস্ত’ তকমা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ধামির কাছে। সোমবারেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী জানান, “৬০০টি বাড়ি রয়েছে যোশিমঠ এলাকায়। ইতিমধ্যেই গোটা এলাকাকে বিপজ্জনক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ভেঙে পড়া ৬৮টি বাড়ির বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২০৫০ সালের মধ্যে ভারত ৩০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনীতি হবে, দাবি গৌতম আদানির]

আপাতত উত্তরাখণ্ড সরকারের একটাই লক্ষ্য, যোশিমঠ বাঁচানো। ধামী বলেছেন, “সকলের কাছে আমার আবেদন, যোশিমঠ বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। এখন সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ যোশিমঠের সমস্ত মানুষকে রক্ষা করা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেও গোটা ঘটনার দিকে নজর রাখছেন। তাঁর তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়। সেখানে ‘ডুবন্ত শহর’ যোশিমঠ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

যোশিমঠ নিয়ে মামলা পৌঁছে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। জ্যোতির্মঠের শংকরাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ শীর্ষ আদালতের আরজি জানিয়েছেন, এই সংকটকে ‘জাতীয় বিপর্যয়’ হিসেবে ঘোষণা করা হোক। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার আরজিও জানিয়েছেন তিনি। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে নামার অনুরোধও করেছেন শংকরাচার্য। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে যোশিমঠ বাঁচানোর জন্য বিশেষ যজ্ঞ শুরু করবেন তিনি। এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই যজ্ঞ।

[আরও পড়ুন: দিল্লি হাই কোর্টে পিছল ইডি’র মামলার শুনানি, স্বস্তিতে অনুব্রত মণ্ডল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement