Advertisement
Advertisement

Breaking News

দশেরায় সন্ত্রাস-রাবণ দহনের বার্তা মোদির

বলেছেন, “জঙ্গিদের যারা আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের কার্যকলাপে মদত দিচ্ছে, কোনওভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না৷ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিন্দনীয়৷”

Won’t spare those who fund terrorists: Modi's Dussehra message
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 12, 2016 8:56 am
  • Updated:October 12, 2016 8:56 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, এবারের বিজয়া দশমী ‘অত্যন্ত বিশেষ’৷ উরি হামলার প্রত্যাঘাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় জওয়ানদের সফল ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর পর তাঁর সেই মন্তব্যের সারকথা বুঝতে সমস্যা হয়নি কারও৷ এমনকী, কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি তা বলেছিলেন, তা অনুমান করতেও বেগ পেতে হয়নি একেবারেই৷ এবার সেই ‘অত্যন্ত বিশেষ’ বিজয়া দশমীতেই মোদি বার্তা দিলেন রাবণ দহনের৷ সন্ত্রাসবাদ হোক বা লিঙ্গবৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা হোক বা স্বজনপোষণ–লঙ্কাধিপতির মতো সেই রাবণেরও একের বেশি মাথা থাকলেও এক এক করে প্রত্যেকটিকে পুড়িয়ে ছারখার করে দিতে এদিন দেশবাসীকে উদাত্ত আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী৷

যদিও অন্য সব কিছুকে ছাপিয়ে মিনিট কুড়ির সামান্য বেশি সময় ধরে চলা তাঁর বক্তব্যের মূল সুর ছিল কড়া হাতে সন্ত্রাস দমনের পক্ষেই৷ মোদি বলেছেন, “মানবতার সবচেয়ে বড় শত্রু হল সন্ত্রাসবাদ৷ এর কোনও সীমা হয় না৷ এ শুধু ধ্বংসের ভাষা জানে৷ তাই একে দমন করা অনিবার্য৷ একশো কোটি ভারতবাসী একজোট হলে সন্ত্রাসবাদকে রোখা যেতে পারে৷” পাকিস্তানের নাম না করলেও নিজের ভাষণে এদিন পড়শি দেশটিকে ঘুরিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি প্রধানমন্ত্রী৷ বলেছেন, “জঙ্গিদের যারা আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের কার্যকলাপে মদত দিচ্ছে, কোনওভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া যাবে না৷ সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া নিন্দনীয়৷”

Advertisement

দশেরা উৎসব উপলক্ষে লখনউয়ের আয়েশবাগে আয়োজিত এক জনসভায় মঙ্গলবার উপস্থিত ছিলেন মোদি৷ সেখানকার ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানের মঞ্চ থেকেই অন্তরের এবং সমাজের–সব রকম আসুরিক শক্তির নিধনেরই বার্তা দেন তিনি৷ নিজের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “এই উত্তরপ্রদেশ থেকেই আমরা শ্রীরামকে পেয়েছি৷ পেয়েছি শ্রীকৃষ্ণকেও৷ সেই  স্থান থেকেই এবার বিজয়া দশমী পালন করার সুযোগ পেয়ে আমি ধন্য মনে করছি নিজেকে৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের দেশের এই যে ঐতিহ্য পালিত হয়ে আসছে, তা আমাদেরও বজায় রাখতে হবে৷” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-ও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন৷

প্রসঙ্গত, এতদিন দশেরা পালিত হত রাজধানীতেই৷ সেই প্রথা ভেঙে এবার লখনউয়ে গেলেন মোদি৷ এদিন বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব৷ পরে আয়েশবাগে সভায় দলীয় নেতা-কর্মীরা মোদির হাতে তির-ধনুক, সুদর্শনচক্র এবং গদা তুলে দেন৷ ঘটনাচক্রে আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন৷ তার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বিশেষভাবেই গুরুত্বপূর্ণ৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এদিনের এই সভা থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদি৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement