সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুদের হত্যা করে ‘মুক্ত’ হিন্দুস্থান গড়তে হবে। এভাবেই ফের ভারতের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিল কুখ্যাত জঙ্গি জাকির মুসা। প্রাক্তন হিজবুল কমান্ডার মুসা এখন কাশ্মীর উপত্যকায় আল কায়দার প্রধান।
[নেতাজি সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করল সহায় কমিশন]
সম্প্রতি, মুসার নেতৃত্বে জম্মু-কাশ্মীরে আল কায়দার শাখা সংগঠন আনসার ‘গাজওয়াত-উল-হিন্দ’ একটি বিবৃতি জারি করে। সেখানে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, ‘পরাধীন’ ভারতকে স্বাধীন করে শরিয়ত আইন চালু করা পর্যন্ত থামবে না তারা। শুধু তাই নয়, ওই বিবৃতিতে ‘কাফের’ হিন্দুদের রক্তবন্যা বইয়ে দেওয়ার হুঙ্কারও দেওয়া হয়েছে। জেহাদের বিষ ছড়াতে, অষ্টম শতকের এক হানাদার মুসলিম সেনাপতির উদহারণ তুলে ধরে জঙ্গি মুসা। জঙ্গিনেতার দাবি, ওই শতকে সিন্ধ প্রদেশের ‘কাফের’ হিন্দু রাজাকে হত্যা করে শরিয়ত আইন লাগু করেছিল মহম্মদ বিন কাসেম। ঠিক একই ভাবে হিন্দুদের হত্যা করে ‘হিন্দুস্থান’কে মুক্ত করা পর্যন্ত না থামার হুঁশিয়ারি দেয় সে। এর জন্য ভারতের সব মুসলিমদের এক হওয়ার আহ্বান জানায় ওই জঙ্গি।
[অকারণে ‘শাস্তি’, শিক্ষিকার বিরুদ্ধে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী ছাত্র]
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’-এ ‘গাজওয়াত-উল-হিন্দ’ জঙ্গি সংগঠনটির ‘আল হুর’ চ্যানেলের মাধ্যমে এই বার্তা সম্প্রচার করা হয়। তবে বৃহস্পতিবারের এই বার্তাটি কোন জায়গা থেকে সম্প্রচার করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এদিন ভারতের মুসলমানদের জিহাদে যোগ দেওয়ার আরজি জানিয়ে মুসা বলে, আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে থেকে ‘জন্নত’ বা স্বর্গ লাভ হয় না। কয়েক মাস আগেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠন হিজবুল থেকে বিতাড়িত করা হয় জাকির মুসাকে। আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠন ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দার প্রতি সমর্থন জানানোয় তাকে দল থেকে বের করে দেয় হিজবুল। এছাড়াও, জাকির মুসা আসলে ভারতের এজেন্ট, ‘কাশ্মীরি’দের হত্যা করতে সে ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করছে। এমনটাই অভিযোগ জানায় হিজবুল। এমনকী মুসাকে মেরে ফেলার জন্য সোপিয়ান জেলার রাস্তায় রাস্তায় হুমকি পোস্টারও পড়েছে।
[বিসর্জন মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে না রাজ্য]
উল্লেখ্য, চলতি মাসেই ফের ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল মুসা। ভারতে ইসলামিক পতাকা উড়বেই। কোনওভাবেই তা আটকাতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল প্রাক্তন হিজবুল কম্যান্ডার জাকির মুসা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.