Advertisement
Advertisement
সুপ্রিম কোর্ট

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়, মারকাজ মামলায় রায় সুপ্রিম কোর্টের

তবলিঘি জামাত ইস্যুতে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা মুসলিম সংগঠনের।

Won’t gag press: SC on plea against communalisation of Markaz incident
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 14, 2020 8:30 am
  • Updated:April 14, 2020 9:15 am  

দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: ‘সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ করতে পারি না আমরা।’ নিজামুদ্দিন মারকাজের ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রং দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম এই মর্মে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের করা মামলা এদিন এই যুক্তিতে খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের কথায় ‘প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে’ এই মামলায় একটি পক্ষ করা হোক, তা না হলে আদালতে এই বিষয় কোনও মামলা শুনবে না।

[আরও পড়ুন: লকডাউনের করুণ চিত্র! রাস্তায় পড়ে থাকা দুধ ভাগ করে খেল সারমেয় ও ভবঘুরে]

প্রসঙ্গত সোমবার জমিয়তের হয়ে আদালতে এই মামলার পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী ইজাজ মকবুল। তিনি আদালতে জানান, জমিয়তের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে অনবরত খবর চলতে থাকায় বিভিন্ন জায়গায় হিংসার পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এদিন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না।” তবে তার পরেই আইনজীবী জানান কর্ণাটকে হিংসার ঘটনা উঠে এসে মিডিয়াতে জামাতের বিরুদ্ধে খবরের পরেই। তাঁর বক্তব্য শোনার পর আদালত জানায়, “তাহলে আপনার সমস্যার সমাধান অন্য জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন যদি এখন একটি বৃহৎ রিপোর্টিংয়ের অংশ নিয়ে হয় তাহলে পিসিআইকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তবেই এই মামলার শুনানি হবে।”

Advertisement

উল্লেখ্য, দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য উঠে এসেছে। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকা জামাত সদস্যেদের নানারকম অরুচিকর ব্যবহারের ঘটনাও উঠে এসেছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে এই সমস্ত তথ্য। কার্যত তার পরেই নিজামুদ্দিন মারকাজের এই অনুষ্ঠানকেই দেশের সকলে দায়ী করেছে দেশে এত বেশি করোনা সংক্রমণের ছড়ানোর পিছনে। আর তার পিছনে রয়েছে সংবাদমাধ্যম। এদিন এই অভিযোগ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে জামায়েত।

জামিয়ত তাদের পিটিশনে জানিয়েছে, একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নানারকম ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের দাবি এর ফলে তাদের জীবনের স্বাধীনতা নষ্ট হয়েছে যা অসাংবিধানিক এবং তাই আদালতের এই বিষয় দেখা উচিত। যদিও বা এদিন তাদের আরজি শুনতে রাজি হয়নি শীর্ষ আদালত। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলা উঠতে পারে শীর্ষ আদালতে।

[আরও পড়ুন: মুসলিম বলে জিনিস বেচতে বাধা! যোগী প্রশাসনের দ্বারস্থ পাঁচ সবজি বিক্রেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement