সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে মহিলাদের উপর অত্যাচার। দেশের মেয়েদের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতেও ব্যর্থ সরকার। অন্তত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর (NCRB) রিপোর্ট তাই বলছে। সম্প্রতি, এনসিআরবি ২০১৯ সালে দেশে মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। যাতে একের পর এক শিউরে ওঠার মতো পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে।
NCRB’র রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে দেশে প্রতি ১৬ মিনিট অন্তর অন্তর একজন মহিলা ধর্ষিতা (Rape) হন। অর্থাৎ প্রতিদিন দেশে ৯০ থেকে ৯১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। আরও উদ্বেগজনক হল, প্রতি ৩০ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় এদেশে। শুধু তাই নয়, গতবছর দেশে প্রত্যেক ২ ঘণ্টা অন্তর কোনও না কোনও মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড হামলার ঘটনাও ঘটেছে রীতিমতো উদ্বেগজনক হারে। NCRB’র রিপোর্ট বলছে, গতবছর প্রতি দুদিন অন্তর দেশের কোনও না কোনও মেয়েকে অ্যাসিড হামলার শিকার হতে হয়েছে। গত বছরের পরিসংখ্যান বলছে, অ্যাসিড হামলার মতোই দেশে নারী পাচারকারীদের রমরমা আগের তুলনায় বেড়েছে। গতবছর প্রতি চার ঘণ্টায় কোনও না কোনও মহিলাকে পাচার করা হয়েছে।
এছাড়া যৌন হেনস্তা, শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা তো আকছার ঘটছেই। পরিসংখ্যান বলছে, গতবছর প্রতি ৬ মিনিট অন্তর দেশের কোনও না কোনও মহিলাকে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। এনসিআরবির ওই রিপোর্টই বলছে, কড়া আইন থাকা সত্বেও ভারতে এখনও পারিবারিক হিংসা বা পণের দাবিতে অত্যাচারের মতো অপরাধে লাগাম পরানো যায়নি। এখনও দেশে প্রতি ঘণ্টায় অন্তত একজন বধূর পণপ্রথা সংক্রান্ত অত্যাচারের জন্য মৃত্যু হয়। প্রতি চার মিনিট অন্তর দেশের একজন বধূ তাঁর স্বামী বা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে অত্যাচারিত হন।
প্রশ্ন হচ্ছে, দেশের নারী নিরাপত্তার এই করুণ ছবি কি শুধু প্রশাসনের উদ্যোগে বদলানো সম্ভব? কোথাও মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে শুধু সরকারের ঘাড়ে দায় ঠেলে দিয়ে বসে থাকাটা কি যুক্তিযুক্ত? মানসিকতা বদলানোর দায় কি সাধারণ নাগরিকদের উপরও বর্তায় না?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.