সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা প্রবেশ ঘিরে উত্তপ্ত সবরীমালা মন্দির৷ কাছে গিয়েও মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে পারলেন না দুই মহিলা। তাঁরা হলেন কেরলের এক সাংবাদিক লিবি সিএস এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা মাধবী। ওই সাংবাদিককে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের ৪.৬ কিলোমিটার দূরে পাম্বায় ঘিরে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। মাধবী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে। মন্দির থেকে কয়েকশো মিটার দূরে মাধবীর পথ আটকানো হয়। পুলিশ গিয়ে তাঁকেও উদ্ধার করে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে যাওয়ায় তিনি আর মন্দিরের দিকে যাননি। সেখান থেকেই ফিরে যান।
বুধবার মন্দির খোলার কথা বিকেল ৫টায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫০০ ফুট উঁচুতে পাহাড়ের মাথায় অবস্থিত সবরীমালা মন্দিরে ১০০ বছর পর প্রবেশ করতে চলেছেন মহিলারা। ইতিমধ্যেই মন্দিরে পৌঁছনোর রাস্তা ধরে ট্রেক করতে শুরু করে দিয়েছেন অনেক মহিলা ভক্তেরা। এই ১০০ বছর ধরেই মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে একটি বোর্ড লাগানো ছিল। তাতে লেখা ছিল, ‘১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই।’ মঙ্গলবার রাতে বোর্ডটিও খুলে ফেলেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। শতাব্দী প্রাচীন ধর্মীয় রীতিকে বাঁচাতে মরিয়া হাজার হাজার ভক্ত। তার প্রতিবাদে ভক্তদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা কেরলে। মঙ্গলবার থেকেই ভক্তরা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মন্দিরের কাছাকাছি পথে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয় মহিলাদের। ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় মহিলা সাংবাদিকদেরও। প্রয়োজনে গায়ে আগুন লাগানোরও হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। মন্দিরের ২০ কিলোমিটার আগে সবরীমালা আচার সংরক্ষণ সমিতি নামে এক সংগঠন একটি ক্যাম্প করে বসেছিল। সেখানেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। এদিন পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। ওই ক্যাম্পে বসে অনেক বিক্ষোভকারী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
শুধুমাত্র মহিলা ভক্তেরাই নন, বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে ছাড় পাননি মহিলা পুলিশেরাও। মন্দিরে নিরাপত্তার জন্য অনেক মহিলা পুলিশ দেওয়ার কথা ছিল। মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তাঁদেরও। বিক্ষোভকারীদের হটাতে গেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। গায়ে আগুন লাগিয়ে গণ আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী৷ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.