Advertisement
Advertisement
মহিলা শ্রমিক, জরায়ু বাদ

ঋতুস্রাবের ‘শাস্তি’ জরিমানা, বাধ্য হয়ে জরায়ু বাদ মহিলা শ্রমিকদের

উদ্বিগ্ন মহিলা কমিশন৷

Women are forced to get their wombs removed to work as cane cutters
Published by: Sayani Sen
  • Posted:April 11, 2019 9:29 pm
  • Updated:April 11, 2019 11:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাসের তিন-চারদিন ঋতুস্রাবের সময় ক্লান্ত থাকেন মহিলারা৷ করতে পারেন না মাঠের কাজ৷ কিন্তু কাজ না করলে তো টাকা আসবে না৷ টান পড়বে পেটে৷ এই সমস্যায় জর্জরিত মহারাষ্ট্রে আখের খেতে কাজ করা মহিলা শ্রমিকরা৷ তাই বাধ্য হয়ে শরীর থেকে বাদ দিচ্ছেন জরায়ু৷ যা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মহিলা কমিশন৷

[ আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরেই ধর্ষণের অভিযোগ, বড়সড় প্রশ্নের মুখে মহিলাদের নিরাপত্তা]

চিনি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় স্থান দখল করেছে ভারত৷ আর ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি তৈরি হয় মহারাষ্ট্রে। অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত আখ চাষের মরশুম। পশ্চিম মহারাষ্ট্রের সোলাপুর, কোলাপুর, সাংগলি, সাতারার মতো জেলাগুলিতে আখ কাটার কাজ করতে আসেন দরিদ্র মানুষেরা৷ যাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মহিলা। অভিযোগ, মাসের তিন-চার দিন ঋতুস্রাবের সময়ে মহিলা শ্রমিক যদি উপস্থিত থাকতে না পারেন, সেক্ষেত্রে তাঁর স্বামীও মজুরি পান না৷ পরিবর্তে তাঁদের দিন প্রতি ৫০০ টাকা করে ঠিকাদারদের দিতেও হয়। একে আয় কম৷ তার উপর আবার টাকা দিতে হলে পেটে টান পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়৷ এছাড়াও আখ কাটার কাজ করতে আসা এই মহিলা কর্মীরা অনেক সময় যৌন নির্যাতনেরও শিকার হন৷ এই ভেবে বাধ্য হয়ে সন্তানের মায়েরা এখন জরায়ু বাদ দিচ্ছেন৷ হাঁটছেন বন্ধ্যাত্বকরণের রাস্তায়৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: এখনও নাগ-নাগিনীর সঙ্গে সহবাস করে চাঁদ সওদাগরের চম্পানগর]

সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমন আশঙ্কাজনক তথ্য৷ তা দেখেই অবাক জাতীয় মহিলা কমিশন। সব দিক খতিয়ে দেখে তারা রাজ্যের মুখ্যসচিব ইউপিএস মদনকে নোটিসও পাঠিয়েছেন। মহিলা কমিশনের অনুরোধ, যে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ এমন কঠিন পরিস্থিতির শিকার হওয়া মহিলাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছে মহিলা কমিশন৷ চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতিতে ওই সব মহিলা শ্রমিক আখের খেতে কাজ করছেন, তা শোচনীয়। বিষয়টি নিয়ে কমিশনও উদ্বিগ্ন।’’ শুধুমাত্র শাস্তির কোপে পড়ে মহিলা শ্রমিকদের এমন এক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া  মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে বলেই মত তাঁদের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement