ছবি: প্রতীকী
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়: রাতের নিশ্চিন্ত ঘুমের মধ্যেই ধেয়ে এল সাক্ষাৎ মৃত্যদূত! ধসে বাড়ি ভেঙে প্রাণ হারালেন তিনজন। গ্যাংটকের (Gangtok) রোঙ্গায় দোকান দারা দেচিলিং এলাকার দুর্ঘটনায় মৃতরা মা ও দুই সন্তান। এদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র সাতমাস। অন্যদিকে, আরেকটি দুর্ঘটনার খবরও মিলছে সিকিম থেকে। টানা বৃষ্টির জেরে সিকিমের তাদংয়ে বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন কলেজ পড়ুয়া। তারা রাঁচির (Ranchi) সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পড়ুয়া বলে জানা গিয়েছে।
ঘড়িতে তখন রাত ১টা ১৫। রোঙ্গায় দোকান দারা দেচিলিং এলাকার বাসিন্দা বিমল মঙ্গারের বাড়িতে দুই ছেলেকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন স্ত্রী দোমা শেরপা। বড় ছেলের বয়স ১০ বছর। ছোটটি সবে ৭ মাসের। রাতেই নামল ধস (Landslide), নিশ্চিন্তির ঘুমের মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়িটি। সেসময় বাড়িতে ছিলেন না বিমল। তাই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বাড়ি ধসে মৃত্যু হয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বাইচুং ভুটিয়া দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পুলিশ, দমকল – সকলে মিলে ধ্বংসস্তূপ থেকে তাদের দেহ উদ্ধার করে। এছাড়া বাড়িটি ভেঙে পড়ায় আশপাশেও কিছু ক্ষতি হয়েছে। তাই ভগ্নস্তূপ সরিয়ে এলাকা সাফ করার কাজেও হাত লাগানো হয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সকালে সিকিমে আরেকটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, তাদংয়ে (Tadong) ছ’ মাইলের কাছে অর্থাৎ সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তাদের বাসটি উলটে যাওয়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাসে ছিলেন রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পড়ুয়ারা। তাঁরা শিক্ষামূলক ভ্রমণে সিকিমে (Sikkim) গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় আহত পড়ুয়ারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া বাংলা-সিকিম সীমানাতেও ধসের জেরে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে দুই রাজ্যের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ আপাতত বন্ধ। পাথর সরিয়ে রাস্তা দ্রুত খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.