ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ২৬ বছরের যুবতী। তাই প্রসবের প্রক্রিয়া নিজেই সারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু কীভাবে নিজে প্রসব করবেন? চিন্তা কী? প্রযুক্তির কল্যাণে তো সবই সম্ভব। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পদ্ধতি রপ্ত করতে পারলেই কেল্লাফতে। এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন যুবতী। কিন্তু তার পরিণতি যে এমন হবে, তা স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। প্রসব করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন মা ও সন্তান উভয়ই।
রবিবার রাতে এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গোরক্ষপুরের বিলান্দপুর এলাকায়। দিন চারেক আগেই সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একাই থাকছিলেন বাহরিচের যুবতী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান সমাজের চোখরাঙানির ভয়েই হাসপাতালে ভরতি হননি গর্ভবতী যুবতী। তাই ইউটিউব দেখে নিজেই সমস্তটা সারতে চেয়েছিলেন বাড়িতেই। ক্যান্টনমেন্ট থানার এসএইচও রবি রাই জানান, পুত্রসন্তান প্রসবের সময়ই প্রাণ হারান যুবতী। বাঁচানো যায়নি সদ্যোজাতকেও। গোটা ঘটনা সোমবার সকালে টের পান বাড়ির মালিক রবি উপাধ্যায়। যুবতীর ঘরের বাইরে থেকে রক্তের ধারা ভেসে আসতে দেখেন তিনি। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর। যুবতীকে ডেকেও কোনও সাড়া মেলেনি। দরজা ভেঙে দেখেন মাটিতে পড়ে রয়েছেন যুবতী ও সদ্যোজাত। তারপরই পুলিশে খবর দেন মালিক। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ঘরে থেকে মেলে একটি স্মার্টফোনও। সেখান থেকেই জানা যায়, ইউটিউবে সন্তান প্রসবের ভিডিও দেখছিলেন তিনি। একটি কাঁচি, একটি ব্লেড, কয়েকটি সূচও পাওয়া গিয়েছে সেখানে।
পুলিশ জানিয়েছে, যুবতীর পরিবারকে খবর দেওয়া হলে তাঁরাই নিশ্চিত করেন মৃতা অবিবাহিতই ছিলেন। এদিকে বাড়ির মালিক পুলিশকে জানান, চার দিন আগেই ওই যুবতী বাড়ি ভাড়া চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, শীঘ্রই তাঁর মা এখানে আসবেন। তিনিই প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাবেন মেয়েকে। আধার কার্ডে তাঁর পরিচয় দেখেই ঘর ভাড়া দিয়েছিলেন রবি উপাধ্যায়। ময়নাতদন্তের পর যুবতীর দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.