Advertisement
Advertisement

প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন ‘মৃত’ মহিলার, খুনের দায়ে জেল খাটছেন স্বামী

জব্বলপুরে লিভ ইন করছে 'মৃত' স্ত্রী।

Woman, reportedly killed found with lover
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 3, 2019 9:23 pm
  • Updated:January 3, 2019 9:23 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রীকে পণের জন্য খুন করার শাস্তিতে জেল খাটছেন স্বামী। এই খবর নতুন নয়। প্রায়ই শোনা যায় এমন ঘটনা। কিন্তু যাঁকে খুনের দায়ে  স্বামী কারাদণ্ড ভোগ করছেন, তিনি যদি জীবিত থাকেন! চমক এখানেই শেষ নয়। মধ্যপ্রদেশে প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইন করছেন স্ত্রী। এমন ঘটনার কাছে হার মানতে পারে টানটান চিত্রনাট্য বা উপন্যাস। হঠাৎ জব্বলপুরে খুঁজে পাওয়া গেল মহিলাকে। ভুয়ো খুনের দায়ে এখনও জেল খাটছেন মুজাফফরপুরের মনোজ শর্মা। স্ত্রী পিঙ্কি ও তাঁর প্রেমিক ময়ূরকে বিহারে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ।

[সংসদ থেকে পালিয়েছেন মোদি, রাফালে নিয়ে নয়া কটাক্ষ রাহুলের]

বিহারের মুজাফফরপুরের মেয়ে পিঙ্কি। ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন মনোজকে। কিন্তু এক মাসের মধ্যে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় পিঙ্কি। শ্বশুরবাড়ির লোক মনোজের নামে থানায় খুনের মামলা দায়ের করে। অভিযোগ করা হয়, পণের জন্য চাপ দিয়ে ফল পাননি, তাই তাঁদের মেয়েকে খুন করেছে মনোজ। কয়েকসপ্তাহ পর এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে সারাইয়া থানার পুলিশ। এই থানা মুজফফরপুরের অধীনেই পড়ে। পরিবারের লোক নিজেদের মেয়ে বলে সেই দেহ শনাক্ত করে। তারপরই মনোজকে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও জেল খাটছেন মনোজ। সারাইয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর শত্রুঘ্ন শর্মা বলেন, “মনোজের পরিবারের কোনও লোক জব্বলপুরে ওই মহিলাকে দেখতে পায়। তাঁরা জানায়, পিঙ্কি ও তাঁর প্রেমিক এখন ক্যান্ট এলাকায় একসঙ্গে থাকছে। মনোজের পরিবারের লোক সঙ্গে সঙ্গে সেখানে যায়। পিঙ্কিকে দেখার পরই আমাদের কাছে এসে অভিযোগ করে।”

Advertisement

[গরুচোর সন্দেহে ফের গণপিটুনি, মৃত্যু বিহারের বাসিন্দার]

বিহার পুলিশ সূত্রে খবর, মনোজের সঙ্গে বিয়ে করার আগে পিঙ্কির সঙ্গে ময়ূর মালিক নামে এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। বাড়ি থেকে জোর করে মনোজের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে পিঙ্কি তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে পালায় ও জব্বলপুরে সংসার শুরু করে। এবার দুজনকেই বিহারে নিয়ে আসা হবে। তবে জব্বলপুর থানার পুলিশ আধিকারিক মনোজিৎ সিং জানালেন, বিষয়টি সুরাহা করা বিহার পুলিশের কাছে আইনিভাবে কঠিন। প্রথমে বিহার পুলিশকে আদালতে প্রমাণ করতে হবে পিঙ্কি এখনও জীবিত। তারপর বিনা অপরাধে যাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। যাঁরা পিঙ্কির দেহ শনাক্ত করেছে ও অন্য যারা এই ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে আছে, সবাইকে শনাক্ত করার পর বিষয়টির নিষ্পত্তি হবে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement