ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছেলে বরাবর মানসিকভাবে অসুস্থ। মা-বাবার সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটি হতো। প্রতিবেশীরা শুনতে পেতেন সব। কিন্তু ওই ঝগড়াঝাঁটি থেকে যে এত বড় অঘটন ঘটে যাবে, কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। অথচ বাস্তবে ঘটে গেল তেমনই হাড়হিম করা ঘটনা। মায়ের মুখ থেকে ‘উন্মাদ’ শব্দ শুনে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে আর স্থির থাকতে পারেনি। মাকে কোপানোর পর গুরুগ্রামের (Gurugram) অভিজাত আবাসনে আগুন ধরিয়ে হত্যালীলা সম্পন্ন করল ছেলে! তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
গুরুগ্রামের বিপুল গ্রিনস নামে অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা রানু শাহ। বছর সাতাশের ছেলে অত্রিশ ও স্বামীর সঙ্গে থাকেন। মানসিক ভারসাম্যহীন (Mentally ill) ছেলেকে নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত পরিবারে। ছেলের চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু তারই মাঝে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। ঝগড়ার মাঝে ছেলেকে ‘উন্মাদ’ বলে ফেলেছিলেন রানু। ব্যস, তাতেই নেমে এল মৃত্যুর (Death) খাঁড়া। ছেলে রেগেমেগে মাকে কোপাতে শুরু করে। এই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে আটকানো যায়নি।
এ পর্যন্তও ব্যাপারটা ফ্ল্যাটের বাইরে জানাজানি হয়নি। কিন্তু আচমকাই ফ্ল্যাট থেকে আগুন (Fire) বেরতে দেখেন প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে দমকল ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে গোটা ফ্ল্যাটে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। রানু শাহকে রক্তাক্ত ও দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি। মৃত্যু হয় তাঁর। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক ময়াঙ্ক গুপ্তর বক্তব্য, প্রায়শয়ই মায়ের সঙ্গে ছেলের ঝগড়া হতো এবং উত্তেজিত হয়ে মায়ের উপর হামলাও চালাত। ধৃত অত্রিশের মানসিক চিকিৎসা চলছে। তাই এই ঘটনার তদন্ত অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে করতে হবে বলে মত তাঁর। কোপানোর (Stab) পরও মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে যেভাবে আবাসনে আগুন লাগিয়ে দিল সে, তা ভেবে শিউরে উঠছেন প্রতিবেশীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.