ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টাকার লোভে মানুষ কি না করতে পারে! বিমার টাকা আদায়ের জন্য নিজেকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা বছর পঁয়তিরিশের এক মহিলা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বিমা কোম্পানির তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় কারসাজি। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই মহিলার স্বামী পলাতক।
[ফের কমছে পিএফের সুদ, চিন্তায় ৪.৫ কোটি গ্রাহক]
ওই মহিলার স্বামীর নাম সৈয়দ সাকিল আলম। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। বছর পাঁচেক আগে স্ত্রীর নামে এক কোটি টাকার বিমা করেছিলেন সাকিল। বছরে ১১ হাজার টাকা প্রিমিয়ামও দিতেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত জুন মাসে আচমকাই বিমা কোম্পানির কাছে ইনসিওরেন্স ক্লেম জমা দেন সাকিল। ওই ব্যক্তি জানান, বুকের ব্যথায় তাঁর স্ত্রী মারা গিয়েছেন। নিয়ম অনুসারে, কোনও গ্রাহক যখন বিমার টাকা দাবি করেন, তখন দাবির সত্যতা যাচাই করে বিমা কোম্পানি। তারপর টাকা ফেরত দেওয়া হয়। সেই নিয়মে সাকিলের কারসাজি ধরে ফেলেন বিমা কোম্পানির কর্মীরা। দেখা যায়, সাকিলের স্ত্রী দিব্যি জীবিত। এরপরই পুলিশে খবর দেন তাঁরা। মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সাকিল পলাতক। হায়দরাবাদের বানজারা হিলস থানার ইন্সপেক্টর কে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এই দাবি করে গত জুন মাসে ইনসিওরেন্স ক্লেম জমা দিয়েছিলেন সাকিল। স্থানীয় একটি কবরস্থান ও পুরসভার দেওয়া মৃত্যুর শংসাপত্রও জমা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, নিয়মমাফিক ভেরিফিকেশনের সময়ে জানা যায়, সাকিল যে নথি জমা দিয়েছেন, তা অন্য মহিলার। তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু, সাকিলের স্ত্রী জীবিত। বিমার টাকা পাওয়ার জন্যই অন্য এক মহিলার মৃত্যুর শংসাপত্র নিজের স্ত্রীর বলে চালানো চেষ্টা করেছিল সাকিল।
[চাকরিতে সংরক্ষণ প্রথার অবসান চান রঘুরাম রাজন]
প্রতারণার অভিযোগে সাকিলের স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সৈয়দ সাকিল আলম পলাতক। তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগে অন্য একটি বিমা কোম্পানি থেকেও একই কায়দায় টাকা আদায়ের চেষ্টা করেছিলেন সাকিল ও তাঁর স্ত্রী। সেই ঘটনারও তদন্ত করছে পুলিশ।
[নাবালিকা ধর্ষণে এবার মৃত্যুদণ্ডের নিদান মধ্যপ্রদেশে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.