সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুটিতে চেপে শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কমলা টি-শার্টের দশ মহিলা। মোবাইলে অর্ডার আসতেই নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয় থেকে খাবার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন ক্রেতার বাড়ির দোরগোড়ায়। এতদিন পুরুষদের দেখা যেত অনলাইন ফুড ডেলিভারির কাজে। এবার সেই জগতে প্রবেশ করল প্রমীলাবাহিনীও। এমনকী ছেলেদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চেন্নাইয়ে এ কাজে শামিল রূপান্তরকামীরাও।
[এ সপ্তাহেই ট্রায়ালে নামছে পুরোপুরি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ বিনা ইঞ্জিনের ট্রেন]
বাইকে চড়তে ভালবাসতেন ৩৭ বছরের সিঙ্গল মাদার শ্রুতি সহাস্ত্রবুদ্ধে। নতুন কাজ শেখার উৎসাহে পুণের সুইগিতে আরও নয় মহিলার সঙ্গে জয়েন করেন। তিন সদস্যের পরিবার এখন তাঁর রোজগারেই নির্ভরশীল। শ্রুতির কথায়, “ছ’মাস আগে এই কাজ শুরু করি। এখনও পর্যন্ত কাজের অভিজ্ঞতা খুব ভাল। যখনই আমি কোথাও খাবার দিতে যাই লোকে আমাকে হাসিমুখে অভিনন্দন জানায়। ছেলেদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে কাজ করছি বলে মেয়েও খুশি।” শ্রুতির সংযোজন, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে লগ ইন করলেই ডেলিভারির কাজ আসতে থাকে। তবে সকাল ১০টা থেকে ৪টের মধ্যে লগ ইন করতে হবে। অনলাইনে সব কাজ হয়ে যায় বলে রোজ অফিসে যেতে লাগে না। কোনও অনুষ্ঠান থাকলে বা উপহার নেওয়ার থাকলে তবেই সংস্থার অফিসে যেতে হয়। সুইগি, উবের ইটস, জোমাটো, ফুডপাণ্ডার মতো সংস্থাগুলি মহিলাদের কর্মসংস্থান গড়ার পাশাপাশি তাঁদের নিরাপত্তার দিকটিও নজরে রেখেছে। সেই কারণেই সন্ধে ছ’টার পর আর মেয়েদের ডেলিভারির কাজ দেয় না সুইগি। কখনও কোনও রাস্তা বা ঠিকানা খুঁজে না পেলে এরিয়া ম্যানেজারকে ফোন করলে তিনি রুট বলে দেন।
চণ্ডীগড়, কোচি, চেন্নাই, আমেদাবাদেও স্কুটি, বাইক নিয়ে খাবার দিতে ছুটছেন উবের ইটসের মহিলাকর্মীরা। সুইগির আর এক মহিলাকর্মী লুইস সূর্যবংশী জানালেন, “লোকে এই কাজে মহিলাদের দেখতে অভ্যস্ত নয়। তাই বেশিরভাগই আমাদের দেখে অবাক হয়ে যায়। অনেক মহিলা আমাদের দেখে প্রশংসা করেন। কেউ কেউ সেলফি তোলেন। এমন ব্যবহারে আমরা আরও উৎসাহী হই। সুইগির ৯০ হাজার ডেলিভারি কর্মীর মাত্র ১০ জন মহিলা। ভবিষ্যতে আরও বেশি করে মহিলাদের এ কাজে নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার শীর্ষকর্তা শচীন কোটাংলে।
[ খোদ Paytm মালিকের গোপন নথি চুরি, প্রশ্নে গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.