ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়া গণধর্ষণের ক্ষত এখনও দগদগে। এর মধ্যেই ফের চলন্ত বাসে ধর্ষণ। ঘটনাস্থল সেই নয়ডা। কাঠগড়ায়, বাস চালক ও কর্মী। বুধবারের ঘটনাটি আরও একবার নির্ভয়ার গণধর্ষণ কাণ্ডের স্মৃতি আরও একবার উসকে দিল এই ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, গণধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এক জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর পরে বাসটিকে আটক করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে৷
পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে তরুণী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার দুই ছেলেমেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন বছর পঁচিশের তরুণী। বিকেলে এসি স্লিপার বাসটি ছাড়ে। এর পরে বুধবার ভোররাতে বাসের এক চালক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই সময় বাসটিতে আরও ১২ জন যাত্রীও ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, বাসে ওঠার পর স্লিপার ক্লাসে সামনের আসনটিতে বসার জন্য অতিরিক্ত ৫০০ টাকা চাওয়া হয়। তিনি তা দিতে পারেননি। বলেছিলেন, গন্তব্যে পৌঁছে টাকা মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু সেকথায় কান দেননি বাসের কন্ডাক্টর ও চালক। টাকা না দিতে পারায় দুই সন্তানকে নিয়ে একদম শেষ আসনে চলে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর রাতের বেলায় সেখানেই তাঁকে যৌন নিগ্রহ করে বাসের এক চালক রতন।
বাসটির চালক যখন তাকে ধর্ষণ করে তখন অপর চালক স্টিয়ারিং ধরে ছিল। বাসের কন্ডাকটারও বিষয়টি জানত। টাকা-পয়সা দিয়ে নির্যাতিতার মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। ঘটনার পরে পুরো বিষয়টি ফোন করে তাঁর স্বামীকে জানান ওই মহিলা। এর পরে বুধবার সকালে নয়ডার সেক্টর ৬২-তে বাসটি পৌঁছলে সেখানে নিজের এক বন্ধুকে নিয়ে চলে আসেন তরুণীর স্বামী।
তবে কেউ কিছু বোঝার আগেই বাস থামিয়েই চম্পট দেয় প্রধান অভিযুক্ত। দ্বিতীয় চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, লখনউ থেকে মথুরা যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। মূল অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও বাসের অন্য কর্মচারীদের আটক করে জেরা করছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.