ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশে মহিলাকে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় উত্তরপ্রদেশের এক বিধায়ক। এমনকী তাঁর পরিবারের আরও ছয়জন এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে বলে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বভাবতই এই ঘটনায় বিপাকে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার।
গত বছরই উন্নাওয়ে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে।অভিযোগ দায়ের করলে নির্যাতিতা ও তার পরিবারকে খুনের চেষ্টা করে সে। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল উত্তরপ্রদেশের ভাদোহির বিধায়কেরও। যদিও অভিযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির দাবি, তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মুম্বইয়ে থাকতেন নির্যাতিতা। ২০০৭ সালে নির্যাতিতার স্বামী মারা গিয়েছেন। ২০১৪ সালে ট্রেনে বিধায়কের ভাইপো সন্দীপ তিওয়ারির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও ছিল বলে খবর। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘদিন সহবাসও করেছিল সন্দীপ। এরপর ২০১৭ সালে ওই মহিলাকে উত্তরপ্রদেশের একটি হোটেলে এনে রাখে বিধায়কের ভাইপো। তখন তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে নির্যাতিতা। আর তাতেই বেঁকে বসে সন্দীপ।
অভিযোগ, এরপর বিধায়ক-সহ বাকিরা তাকে লাগাতার ধর্ষণ করতে শুরু। হোটেলে প্রায় একমাস তাকে আটকে রেখে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হয় মেয়েটি। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে বিদোহির এসপি রাম বদন সিং বলেন, “২০১৪ সালে সন্দীপের সঙ্গে নির্যাতিতার আলাপ হয়। তারপর থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে।” ঘটনার তদন্তভার পেয়েছেন ভাদোহির অতিরিক্ত এসপি। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত বিধায়ক। তাঁর কথায়, যখন এই অপরাধ হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তিনি সেই সময় দেশেই ছিলেন না। তাই তদন্ত করে দেখা হোক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.