সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরার নতুন সরকারে শরিক হতে পারে নবগঠিত তিপ্রা মথা? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ত্রিপুরার মহারাজ প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মাকে (Prodyot Manikya Debbarma) জোটের বার্তা দিচ্ছে বিজেপিই। খোদ উত্তরপূর্ব ভারতের এনডিএ জোটের আহ্বায়ক তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলে দিচ্ছেন, প্রয়োজন পড়লে তিপ্রা মথার সঙ্গে কাজ করতে তাঁর আপত্তি নেই।
হিমন্ত (Himanta Biswa Sarma) স্পষ্টই বলে দিচ্ছেন, একটা শর্ত মানলে তিপ্রা মথার সঙ্গে আলোচনায় রাজি বিজেপি। কী সেই শর্ত? অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ত্রিপুরাকে ভেঙে আলাদা রাজ্যের দাবি মানা সম্ভব নয়। ত্রিপুরাকে অবিভক্ত রাখতে হবে। আবার উপজাতি তথা ত্রিপুরার আদিবাসীদের দাবিও যে ফেলনা নয়, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন,”আমাদের প্রথম শর্ত হল ত্রিপুরাকে (Tripura) ভাঙা চলবে না। তবে উপজাতিদের ইস্যুগুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমার আশা কেন্দ্র সরকার এবং ত্রিপুরার নতুন সরকার এটা নিয়ে কাজ করবে। দরকার পড়লে তিপ্রার সঙ্গে আলোচনাতেও আপত্তি নেই।”
আসলে ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় (Tripura Assembly) কান ঘেঁষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। ৫৫টিতে লড়ে ৩২টি আসনে জিতেছে গেরুয়া শিবির। তাঁদের জোটসঙ্গী আইপিএফটি (IPFT) জিতেছে মাত্র ১টি আসন। অর্থাৎ বিজেপি জোটের হাতে রয়েছে মাত্র ৩৩ আসন। সামান্য ব্যবধানের এই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার চালানোটা এবার সেরাজ্যে রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। সম্ভবত সেকারণেই তিপ্রাকে শরিক হিসাবে চাইছে বিজেপি।
আবার তিপ্রা প্রথমবার লড়াই করে ১৩ আসন পেলেও, বিরোধী আসনে থেকে বিধায়কদের ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হবে তাদের জন্য। এই ধরনের যে কোনও ছোট দলের পক্ষেই বিরোধী হিসাবে অস্তিত্ব ধরে রাখা কঠিন। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির প্রতি খানিক নরম মনোভাব দেখাচ্ছে তাঁরাও। সেকারণেই ত্রিপুরায় তিপ্রা আর বিজেপির (BJP) জোটের একটা সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে তিপ্রার তরফে কোনও ইঙ্গিত এখনও মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.