Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rahul Gandhi

কংগ্রেস সংরক্ষণ তুলে দেবে? বিজেপির তোপের মুখে সাফাই দিলেন রাহুল

বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেন, কংগ্রেস সংরক্ষণ বিরোধী।

ফাইল ছবি।

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 12, 2024 2:05 pm
  • Updated:September 12, 2024 3:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংরক্ষণ ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর বিতর্কিত বক্তব্যের পর অল আউট অ্যাটাকে ঝাঁপায় বিজেপি। আসরে নামেন খোদ অমিত শাহ, রাজনাথ সিংয়ের মতো শাসক দলের হেভিওয়েট নেতারা। জবাবে এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা বললেন, “কিছু মানুষ আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বলছে যে আমি সংরক্ষণ বিরোধী।” কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, “আমরা (কংগ্রেস) ক্ষমতায় এলে ৫০ শতাংশের সীমা ছাড়াবে সংরক্ষণ।”

মঙ্গলবার ওয়াশিংটনের জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের বক্তব্যে রাহুল বলেন, “ভারতে যখন ন্যায় স্থাপন হবে, কংগ্রেস তখন সংরক্ষণ তুলে দেবে।” বর্তমান ভারতে সেই অবস্থা নেই। এই প্রসঙ্গে জাতিগণনার প্রসঙ্গও টেনে আনেন রায়বরেলীর সাংসদ। তিনি বলেন,জাতিগণনার উদ্দেশ্যই হল নিচু জাত, অনগ্রসর জাত এবং দলিতরা কী পরিস্থিতিতে রয়েছে তা বোঝা। সেই মতো তাদের পাশে দাঁড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া। কংগ্রেস নেতার দাবি, আজ ২০০ জন ব্য়বসায়ীর হাতে দেশ। ৯০ শতাংশ নাগরিক অবহেলিত। জাতিগণনার লক্ষ্য হল তাঁদের আর্থসামাজিক অবস্থা জেনে প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া।

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: মহামেডানে ম্যাকলারেনের সতীর্থ, রোনাল্ডোর দেশের ফুটবলারকে ঘিরে উচ্ছ্বাস সাদা-কালো শিবিরে

যদিও বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অভিযোগ করেন, কংগ্রেস যে আসলে সংরক্ষণ বিরোধী, সেটাই রাহুলের কথায় স্পষ্ট। বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে শাহ পোস্ট করেন, “যতদিন বিজেপি থাকবে, ততদিন কেউ সংরক্ষণ বাতিল করতে পারবে না। যারা দেশভাগের চক্রান্ত করছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোটা কংগ্রেস অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছে।”

 

[আরও পড়ুন: গ্রুপ পর্বে অপরাজিত, কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ইস্টবেঙ্গল

 

প্রসঙ্গত, মোদির ভারতে পাগড়ি পরা নিয়েও ভাবতে হয় শিখদের,  রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্য নিয়েও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। পালটা ৮৪’-র দাঙ্গার কথা স্মরণ করিয়েছে বিজেপি। এমনকী বিরোধী দলনেতার মন্তব্যের জেরে বিক্ষোভ হয় তাঁর বাংলোর অদূরে। বুধবার দিল্লিতে বিজেপি এবং শিরোমণি অকালি দলের ‘ঘনিষ্ঠ’ কয়েকটি শিখ সংগঠন কংগ্রেস সাংসদের সরকারি বাংলোর কাছে বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়।

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের ভিত্তিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের সীমা অতিক্রম করা যায় না। মণ্ডল কমিশন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, কয়েকটি অভাবনীয় পরিস্থিতি ছাড়া ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা অতিক্রম করা যাবে না। সেক্ষেত্রে রাহুলের বক্তব্যের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement