Advertisement
Advertisement

Breaking News

হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে, রাজ্যসভায় সাফ জানালেন শাহ 

ফের পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার ইঙ্গিত দিলেন শাহ। 

Will provide citizenship to Hindus, says Amit Shah in RS
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 2, 2019 12:02 pm
  • Updated:July 2, 2019 12:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের হিন্দু শরণার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার রাজ্যসভায় শাহ সাফ জানান, নাগরিকত্ব বিল পাশ করিয়ে অসমে সমস্ত হিন্দু অনুপ্রবেশকারীকে শরণার্থীর তকমা দিয়ে নাগরিকের অধিকার দেওয়া হবে।    

[আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে মহারাষ্ট্রে মৃত কমপক্ষে ৪০, চূড়ান্ত বিপর্যস্ত রাজধানী মুম্বই]

Advertisement

সোমবার রাজ্যসভায় অমিত শাহ বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে অসমের মতো অন্য রাজ্যেও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) তৈরি করা হবে। তারপরই এনআরসি প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আগামী ৩১ জুলাই অসমে চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হলে প্রায় ২৩ লক্ষ হিন্দু বাঙালি নাগরিকত্ব হারাতে পারে। তাদের কথা কেন ভাবছে না সরকার, এই প্রশ্নও তোলেন ডেরেক। জবাবি বক্তব্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নাগরিকত্ব আইন পাশ করিয়ে অসমে সমস্ত হিন্দু অনুপ্রবেশকারীকে শরণার্থীর তকমা দিয়ে নাগরিকের অধিকার দেওয়া হবে। তারপর নতুন করে অন্যত্র এনআরসি করতে নামবে সরকার।”

বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করার পক্ষে সওয়াল করে আসছে বিজেপি। এদিন জিরো আওয়ারে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডার সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “তৃণমূলের আমলে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বহু জেলায় জনবিন্যাস পালটে গিয়েছে।’’ এই যুক্তি দিয়েই পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে এনআরসি-র দাবি করেন দুবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ জুলাই অসমে চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশিত হতে চলেছে। নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ পড়েছে ৪১ লক্ষ মানুষের নাম। যাদের মধ্যে ৩৬ লক্ষ মানুষ অন্তর্ভুক্তির জন্য পুনরাবেদন জানিয়েছেন। চলতি লোকসভা নির্বাচনেই ‘ডি-ভোটার’ বা ‘সন্দেহজনক ভোটার’ তকমা থাকায় ভোট দিতে পারেননি ১ লক্ষ মানুষ। এনিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। বিশেষ করে বিদেশি ট্রাইবুনালগুলিতে চলা মামলায় গাফিলতির অভিযোগ বারবারই উঠে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই ভূমিপুত্রদের নামও তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। বা আধিকারিকদের গাফিলতির জেরে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। ফলে নাগরিকপঞ্জি বাস্তবায়নের এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।           

[আরও পড়ুন: সারদা মামলায় তৎপর সিবিআই, শুভাপ্রসন্ন-শিবাজি পাঁজাকে তলব]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement