ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তাঁর নেতৃত্বেই সদ্য বিশ্বের বৃহত্তম নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন করল ভারত। অথচ, সেই রাজীব কুমার আর রাজনীতি বা সমাজের মূল ধারায় থাকতে চাইছেন না। অবসরের পর তিনি চাইছেন হিমালয়ে গিয়ে সাধনা করতে। কিছুদিন অন্তত একান্তে সময় কাটাতে।
মঙ্গলবারই দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এমনিতে রাজীব কুমার কাব্যপ্রেমী। এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও তাঁর মুখে শায়েরি শোনা গিয়েছে। বিরোধীরা তাঁর আমলে নির্বাচনী অনিয়ম, ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এদিন শায়েরির মাধ্যমে তার জবাব দিয়েছেন তিনি। এসবের মধ্যেই সাংবাদিকরা তাঁকে অবসর যাপন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তাতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার একপ্রকার রসিকতার সুরেই বুঝিয়ে দেন, অবসরের পরই তিনি উধাও হয়ে যেতে চান।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ দিল্লির ভোটপ্রক্রিয়া মিটলেই অবসর রাজীবের। তারপর কী করবেন? মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য, “আমি হিমালয়ে চলে যেতে চাই। একান্তে সময় প্রয়োজন আমার। সাধনা করতে চাই আগামী কয়েক মাস।” যদিও এরপরই নিজের আসল পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। রাজীব কুমার বলেন, “আমি এই সমাজকে কিছুটা ফেরত দিতে চাই। আমরা ক্লাস সিক্সে উঠে এবিসিডি শিখেছি। গাছতলায় স্লেট-পেন্সিল নিয়ে পড়তে যেতে হত, সেখান থেকে সমাজ আমাকে অনেক দিয়েছে।” মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ইঙ্গিত, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করাই তাঁর জীবনের লক্ষ্য।
১৯৮৪ সালের ব্যাচের ক্যাডার ঝাড়খণ্ডের এই ব্যক্তিত্ব। প্রশাসনিক কাজ সামলানো ও নীতি নির্ধারণে তিন দশকের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। এর আগে অর্থমন্ত্রকের সচিবের দায়িত্বও পালন করেছেন রাজীব কুমার। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংযুক্তিকরণ তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ২০২০ সালে তাঁকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আর ২০২২ সালে তিনি হন দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.