সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভিবাসন নীতি, অ্যালকোহল ও মোটরগাড়ি। এই ত্র্যহস্পর্শে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসা ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’-র আলোচনা মাঝপথ পেরিয়েও থমকে দাঁড়িয়েছে। কিছুতেই খুলছে না জট। এই প্রেক্ষাপটে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।
রাত পোহালেই ভারতে বহুচর্চিত জি-২০ সম্মেলন (G-20 Summit)। নয়াদিল্লির বুকে বসতে চলেছে চাঁদের হাট। ইতিমধ্যেই সামিটে যোগ দিতে একে একে ভারতে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। পৌঁছে গিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। আর সেই বৈঠক ঘিরেই তুঙ্গে জল্পনা। বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় পাখির চোখ হবে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি। এছাড়া, উঠবে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। ভারতের ‘রুশপ্রেম’ নিয়ে লন্ডনের ক্ষোভ প্রশমনে কী করবেন মোদি তাও দেখার।
মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন সুনাক বলেন, “মোদিজি এবং আমি দু’জনেই চাই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হোক। এক্ষেত্রে খুবই ভাল কাজ হতে পারে বলেই আমরা মনে করি। তবে বাণিজ্য চুক্তি সময় সাপেক্ষ। এতে সময় লাগে। দু’দেশের সহমত হওয়া প্রয়োজন। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি।”
#WATCH | G 20 in India | On Free Trade Agreement (FTA) under discussion between India and the UK, UK PM Rishi Sunak says, “Both Modi ji and I are keen to see a comprehensive and ambitious trade deal concluded between our two countries. Both of us think there is a good deal to be… pic.twitter.com/xV5WQwg3xm
— ANI (@ANI) September 8, 2023
মূলত যে-তিনটি বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে দর কষাকষি চলছে- অ্যালকোহল ও মোটর গাড়ির উপর ভারতের আরোপিত আমদানি শুল্ক হ্রাস করা, এবং কাজের উদ্দেশ্যে ভারত থেকে ব্রিটেনাভিমুখী কর্মপ্রার্থীদের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ। অনুমান, অ্যালকোহল ও মোটরগাড়ির উপর আমদানি শুল্ক হ্রাসে নরম মনোভাব দেখালেও ‘অভিবাসন’ (ইমিগ্রেশন) ইস্যুতে ভারতের কঠোর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই চুক্তি হলে ব্রিটেনে ভারতীয় অভিবাসনের সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে লিজ ট্রাস মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রাভারম্যান মন্তব্য করেছিলেন। তাতে নয়াদিল্লি তো বটেই, ব্রিটেনের ভারতীয়দের মধ্যেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল। ব্রাভারম্যান পদত্যাগ করেন। তারপর দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল না দিতে পারার ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে লিজ ট্রাসকেও সরে যেতে হয়। তবে দেশের স্বার্থে যে কোনও কঠিন লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত- প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই ছিল সুনাকের প্রথম বার্তা। বাকিটা সময়ই বলবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.