Advertisement
Advertisement
বিজেপির

‘নিরস্ত্র’ সেনা জওয়ানদের বিপদের মুখে কে ঠেলে দিল? লাদাখ নিয়ে প্রশ্ন রাহুলের

'আপনার মন্তব্য চিন ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে', পালটা বিজেপির।

Why were our soldiers sent UNARMED to martyrdom? asks Rahul Gandhi
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 18, 2020 4:05 pm
  • Updated:August 21, 2020 7:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ ইস্যুতে ফের সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবারে তাঁর অভিযোগ, লাদাখে ভারতের বীর সেনা জওয়ানদের নিরস্ত্র অবস্থায় বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে সরকার। কেন্দ্রের কাছে কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, এর জন্য দায়ী কে? কে ভারতের বীর জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া বিপদের মুখে ঠেলে দিল?

কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ৬ জুন দুই দুই দেশের সেনা আধিকারিকদের বৈঠকের পর ঠিক হয় গালওয়ানের বিতর্কিত এলাকা থেকে দুই দেশই সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। কিন্তু পরে দেখা যায় চিনারা সেটা করেনি। গত সোমবার রাতে ভারতীয় সেনার একটি দল চিনাদের সতর্ক করতে গালওয়ানের সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে যায়। চিনাদের সেনা সরিয়ে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যেতে অনুরোধ করেন ভারতীয় সেনার কম্যান্ডার। কিন্তু চিনারা তা মানতে চায়নি। তারা পালটা দাবি করে, গালওয়ান তাদেরই এলাকা। বরং ভারত জোর করে তাঁদের এলাকায় চলে এসেছে। তারপরই ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর চড়াও হয় চিনা সেনা। শুরু হয় সংঘর্ষ। ভারতীয় জওয়ানদের উপর নির্বিচারে ধারালো অস্ত্র, মুগুর নিয়ে চড়াও হয় চিনারা। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, সেসময় ভারতীয় জওয়ানদের হাতে এই ধরনের কোনও অস্ত্রই ছিল না। সেটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর সাফ কথা, “চিন নিরস্ত্র ভারতীয় সেনাকে মেরে খুব অন্যায় করেছে। কিন্তু ভারতীয় জওয়ানদের অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া ওই বিপদের মুখে ঠেলে দিল কে?

[আরও পড়ুন: গালওয়ান ছাড়তে নারাজ লাল ফৌজ, ফের আলোচনা ভারত-চিন সেনা কর্তাদের]

রাহুলের এই টুইটের পরই যথারীতি তাঁকে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করতে আসরে নামে বিজেপি। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্র টুইট পালটা তোপ দাগেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে। তিনি বলেন,”এই সময় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করাটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। রাহুলের উচিৎ ছিল সর্বদল বৈঠক পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এই সময় গোটা দেশের একসঙ্গে সেনা এবং প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকা উচিৎ। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলে থেকে এই ধরনের মন্তব্য একেবারেই অপরিণত মানসিকতার পরিচয়। কারণ, প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা মানে কোনও ব্যক্তিকে আক্রমণ করা নয়। একটা দেশের নেতাকে আক্রমণ করা। বিরোধীদের বোঝা উচিৎ, ওদের এসব মন্তব্য আসলে দেশের শত্রুরা ভারতের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে। “

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement