সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) যখন লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়া শুরু করলেন, চিন সীমান্তের কালো মেঘ তখনও কাটেনি। লাদাখের বহু এলাকায় তখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে কবজা করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিনের ড্রাগন বাহিনী। স্বাভাবিকভাবেই, মোদি লালকেল্লা থেকে চিন নিয়ে কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল গোটা বিশ্বের। লালকেল্লার ভাষণে প্রধানমন্ত্রী কড়া বার্তাই দিলেন। বললেন, ‘আমরা হানাদারদের তাদের ভাষাতেই জবাব দিয়েছি।’ কিন্তু মোদির এদিনের ভাষণে চিনের নাম উল্লেখ ছিল না। ‘আত্মনির্ভরতা’র মতো শব্দ যেখানে ৩৫ বার উচ্চারিত হয়েছে, সেখানে একবারও চিনের (China) নাম নেই কেন? তাহলে কি মোদিজি চিনকে ভয় পাচ্ছেন? সেই প্রশ্নই এবার তুলল কংগ্রেস।
এদিন লালকেল্লা থেকে ‘নাম না করে’ চিনকে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লাদাখে শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা মোদিকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমরা হানাদারদের তাদের ভাষায় জবাব দিয়েছি। LOC থেকে LAC পর্যন্ত যখনই ভারতের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছে, তখনই যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। সীমান্তে দেশের সুরক্ষায় আমাদের জওয়ানরা অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা আমাদের প্রাথমিক দায়িত্ব। আর এর জন্য আমরা কী করতে পারি, আমাদের সেনা কী করতে পারে, সেটা গোটা দুনিয়া দেখেছে।’
কংগ্রেসের প্রশ্ন, সেনা বীরের মতো লড়াই করেছে সেটা সকলেই জানে। কিন্তু দিল্লি সরকার কী করছে? কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Surjewala) বলছিলেন,” কংগ্রেসের (Congress) প্রত্যেক কর্মী এবং দেশের ১৩০ কোটি জনতা আমাদের সেনার কৃতিত্বে গর্বিত। ওঁদের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। সেনা চিনকে কড়া জবাব দিয়েছে, আমরা স্যালুট করি। কিন্তু যারা দিল্লিতে বসে আছে তাঁরা কী করছে? তাঁরা চিনের নাম নিচ্ছে না কেন?” সুরজেওয়ালা বলছেন,”এই সময়, যখন চিন ভারতের সীমানায় ঢুকে গিয়েছে, প্রত্যেক ভারতীয়র উচিত সরকারকে প্রশ্ন করা। চিনকে হঠাতে সরকার কী করেছে, জানতে চাওয়া।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.